মঙ্গলবার ● ১৫ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » লালমোহনে আ’লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সর্মথকদে সংঘর্ষ, অফিস ভাংচুর
লালমোহনে আ’লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সর্মথকদে সংঘর্ষ, অফিস ভাংচুর
স্টাফ রিপোর্টার: ভোলার লালমোহনে আ’লীগ ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সর্মথকদে মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, হামলা ও অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিয়ার হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আর টিভির ক্যামরাপার্সন সহ অন্তত ২১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
লালমোহন সদর ইউনিয়নের আ’লীগের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান কামরুল অভিযোগ করে বলেন, আমার কর্মীদের নিয়ে বিকালের দিকে ফুলবাগিচা বাজারে গণসংযোগ চলাকারে প্রতিপ্রক্ষ নৌকা মার্কার প্রার্থী শাহজানের ছেলে সোহল ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীদের নিয়ে আমাদের বাধাঁ দিলে আমরা থানা পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করে সেখান থেকে চলে আসি। সন্ধ্যার পর সোহলে নেতৃত্বে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টি মোটরসাইকেল করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে আমার মিয়ার হাট বাজারে নির্বাচন পরিচলারাকারি অফিসে এসে এলোপাথাড়িভাবে হামলা করে এবং ভাংচুর চালায়। এতে আমার কর্মী নাহিম (২২), মুনসুর (২৫), আকবর (২৮), মোস্তফা শনি (২৮), রানা (২৬), মারুফ (২৮), শাকিল (২৭), আরিফ (৩০), কবির (২৭), নাহিদ (২৫), মোস্তাফিজ (৩৫), কামল (৪০), রহিম (৩৫), ইকবাল (৩২), ফারুক (৪০), জামাল (২৮), রফিক (২২), সামিম শনি (২৬), আলাউদ্দিন মিয়া (৬৫) আহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে আসতে না দেওয়ায় সকলকে বাহিরে প্রাথমিক চিকৎসা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, আমার কর্মীদের উপর হামলা করে লালমোহন পৌর শহরের আমাদের মালিকাধীন মিয়া প্লাজা ও আরো কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিক্ষরা প্রার্থীর ক্যাডাররা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ছবি তুলতে গিয়ে আর টিভির ক্যামরাপার্সন ইউসুফ (৩৫), লালমোহন পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জালাল উদ্দিন বিল্লাল (২৮) আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে লালমোহন সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন বলে জানা গেছে।
এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আ’লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজান মিয়া। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ প্রর্থীর লোকজন আমার নির্বাচন অফিসে হামলা করেছে। সাংবাদিকে উপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন,কেবা করা সুযোগ নেওয়ার জন্য সংবাদকর্মীর উপর হামলা করেছে। এর সাথে তার কোন নেতা কর্মী জড়িত ছিলনা বলে তিনি দাবি করেন।
এদিকে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থি নিয়ন্ত্রণ করেছেন বলে থানা সুত্রে জানা গেছে।