শনিবার ● ৫ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন
ভোলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন
আদিল হোসেন তপু: আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে গিরে ভোলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আচরণবিধি লঙ্গনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনি একটি অভিযোগ এনে ভোলা সদরের আলীনগর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী পৃথক পৃথক ভাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। এরা হলেন আনারস মার্কার চেয়াম্যান প্রার্থী মোঃ জাহিদুল হক শুভ ও টেলিফোন প্রতিকের প্রার্থী সানজিদা হক।
শনিবার সকাল ১১টায় প্রার্থীর নিজ বাস ভবনে এই সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তারা আলীনগরের আওয়ামী প্রার্থী বশির আহমেদ এর বিরুদ্ধে বোমাবাজী, হুমকি-ধামকিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পাশাপাশি তার কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে জাহিদুল হক শুভ বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এলকার মানুষের সুখে-দুখে পাশে ছিলাম ও এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছি। তাই আলীনগরবাসীর দাবীর মুখেই আমি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে দাড়াই। কিন্তু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আমার গণজোয়ার দেখে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. বশির আহমেদ বিভিন্নভাবে আমাকে এবং আমার কর্মীদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন। জনগণ ভোট দিতে পারলে আমার বিজয় সুনিশ্চিত জেনে তিনি ভোটরদের প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন এবং ভোট ছিনিয়ে নেয়ার পায়তারা করছেন। নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্র দখল ও আমার কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার উদ্দেশ্যে তিনি প্রায় ২ হাজার লগী বইঠা ও রাম দা বানিয়েছেন। যার ছবি এবং ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। এমনকি গভীর রাতে আমার কর্মী-সমর্থকদের বাড়ির সামনে বোমা ও গুলি করে ভয় দেখানো হচ্ছে। আমি বিষয়টি প্রশাসনকে জানালেও তারা এখনও এসব অ¯্র ও লগী বইঠা উদ্ধার করতে পারেননি। তফসিল ঘোষণার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমার ৮ জন কর্মীকে মারধর ও বসত বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। গত শুক্রবার প্রকাশ্যে দিবালোকে আমার সহধর্মিনী সতন্ত্র প্রার্থী সানজিদা হক তার নির্বাচনী প্রচারে বের হলে বশির আহমেদের সন্ত্রাসী বাহিনী তার গাড়ীতে হামলা করে এবং গাড়ীর সামনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে ভোলা থানার এস আই আমির হোসেন আমার স্ত্রী টেলিফোন প্রতিকের প্রার্থী সানজিদাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে। এই অবস্থায় শুধু আমি ও আমার কর্মীরা নয় বরং আলীনগরের সাধারণ ভোটাররাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
আনারস প্রতিকের প্রার্থী শুভ আরো জানায়, আ’লীগপ্রার্থী বশির আহমেদ আমার গণ জোয়াড় দেখে নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়ে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি তার নির্বাচনী অফিস ও বসত বাড়ি ভাংচুর করে আমার কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন। এবং আমার কর্মীদের মামলায় দেয়ার জন্য তালিকা তৈরী করেছেন ।
এ অবস্থা প্রশাসনকে জানালেও তার কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেননা। তারা সব সময় বশিরের পক্ষেই কাজ করে যাচ্ছেন। এ সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বিরাজমান থাকলে আলীনগরের নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না। আমরা চাই অবাধ এবং শান্তিপূর্ন একটি নির্বাচন যাতে করে আলীনগর বাসী তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করতে পারেন।