ভোলায় ক্লাসে ঢুকে শিক্ষকের সামনে শিক্ষার্থীকে বহিরাগতদের নির্যাতন

আদিল হোসেন তপু: ভোলা সদর উপজেলার আলীনগরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কক্ষের শিক্ষকের সামনে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার আলীনগর ইউনিয়ানের ৩নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চিপলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (মনির স্যারের স্কুল) এই ঘটনা ঘটে। শিশুটির নাম তানজিল (১১)। সে ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আহত ওই শিক্ষার্থীকে মূমুর্ষ অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সে আশঙ্ক জনক অবস্থায় রয়েছেন। তার শরীরে মারধরের আঘাতে ফুলে রয়েছে। এই ঘটনায় ভোলার সদর থানায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়। ঘটনার সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন আগে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানজিল এর সাথে একই স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র রাহাতের সাথে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার স্কুলে আসার পথে রাহাত এর সাথে তানজিলের বাবার ঝগড়া হয়। পরে রাহাত তার বাবা রুহলকে গিয়ে বিষয়টি জানালে রুহুল স্কুলে এসে ক্লাস চলাকালে শিক্ষার্থীদের সামনে তানজিলকে এলোপাথাড়িভাবে মারধোর করে। মারের তোপে তানজিল ঘটনাস্থলে প্রসাব করে দেয় এবং আত্মচিৎকারে করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। গুরুতর অবস্থায় তানজিলকে স্কুলের শিক্ষকরাও এলাকাবাসী উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।  ভোলা সদর হাসপাতালের ৭৭নং বেডে শুয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে তানজিল।  ঘটনা শুনে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো.মনিরুল ইসলাম  বলেন, হামলাকারী রুহুলকেইস প্রভাবশীল হওয়ায় তারা আজ স্কুলে প্রবেশ করে নিয়ম শৃঙ্গলা ভঙ্গকরে এ ধরণের পাশবিক নিযার্তন ঘটায়। জিজ্ঞাসা  করলে তিনি জানান ঘটনাটি আগামীকাল মিমাংসা করা হবে। স্থানীয়রা জানান, রুহুল কেইস এর ভাই শাহীন এবার ইউপি সদস্য পদে প্রার্থী হবে। তাই সবাইকে আতঙ্কিত করার জন্য এ ঘটনাটি ঘটায়। এছাড়াও রুহুল কেইস এর বড় ভাই শাহীনও এইধরণের একাধীক ঘটনা ঘটিয়েছে বলে যানা যায়। এব্যাপারে রুহল কেইস এর সাথে কথা বলরা চেষ্টাকরলে তাকে পাওয়া যায় নি।
আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো.বশির আহমেদ বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি। যাতে এই ধরণের ঘটনা যেন আর কেউ না ঘটাতে পারে। এব্যাপারে ভোলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো.আকতার হোসেন বলেন, একজন স্কিুলের শিক্ষার্থীকে এভাবে স্কুলে প্রবেশ করে নির্যাতন করার ঘটনাকে আমি তীব্র ভাবে প্রতিবাদ জানাই। এসকল পাষ-দের শাস্তির দাবী জানাই। ভোলা মডেল থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা মীর খায়রুল কবীর জানান, এই ধরণের শিশু নির্যাতনের অভিযোগ আসলে আমরা অবশ্যই এর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।