মঙ্গলবার ● ১২ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলায় সূর্যের হাসি ক্লিনিকে প্রসুতিকে জোরপূর্বক এ কি করলেন ডাক্তার ?
ভোলায় সূর্যের হাসি ক্লিনিকে প্রসুতিকে জোরপূর্বক এ কি করলেন ডাক্তার ?
স্টাফ রিপোর্টার: ভোলায় সূর্যের হাসি ক্লিনিকে প্রসুতি মাকে জোরপূর্বক একি করলেন ডাক্তার। তবে রোগীর অবস্থায় খারাপ করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়েছে। এ ঘটনায় রোগীর পরিবাররের মাঝে ক্ষোভের কোন শেষ নেই।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে উত্তর চরনোয়াবাদের আবদুল বারেক এর মেয়ে হালিমা প্রসব ব্যাথা ওঠলে তাকে নিকটস্থ সূর্যের হাসি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ক্লিনিকের ম্যানেজার মিজান তাকে দ্রুত সিজার করানো লাগবে বলে ডা.আফরোজা বেগমকে খবর দেয়। সেখানে রাতেই কোন ধরণের পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই এনেসথেসিয়ায় ডা. সুনীল চন্দ্র তাকে জোরপূর্বক অজ্ঞান করে ডা.আফরোজা বেগমকে দিয়ে সিরাজ করায়। পরে রাতে রোগীর অবস্থা আরো মুমূর্ষ হলে কোন রকম সেলাই দিয়ে বরিশাল সেবাচিমে রেফার করেন।
রোগীর পরিবার আরো অভিযোগ, সূর্যের হাসি ক্লিনিক টাকার জন্য আমাদের রোগীকে সিজার করিয়েছে। তারা ব্যার্থ হয়ে রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে বরিশালে নেওয়ার জন্য বলেছে। এই ধরণের ক্লিনিকগুলো তাদের ব্যবসার জন্য রোগীদেরকে জোরপূর্বক সিজার করে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। এই ধরনের ক্লিনিকের র্কমকর্তা ও ডাক্তারদের শাস্তি দাবি করেন তারা।
এ ব্যাপারে ডা.আফরোজ বেগম বলেন, ক্লিনিকের ম্যানেজার আমাকে ফোন দিয়ে রোগীর কথা জানালে আমি গিয়ে রোগীর চিকিৎসা করি, এক পর্যায় তার পেট কেটে তাকে সিজার করতে গেলে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে বরিশালে নেওয়ার জন্য বলি। এখানে ব্যবসার কিছু নেই। তিনি আরো বলেন, রোগী তার প্রসুতি হওয়ার সময় পার হয়ে ক্লিনিকে আসাতে সিজার করতে কষ্ট হয়। তাই আমরা কোন ঝুঁকি নিতে চাইনি।
এদিকে, এনেসথেসিয়ার ডা.সুনীল চন্দ্র বলেন, আমাকে ডা. আফরোজা বেগম তাকে অজ্ঞান করতে বলেছে তাই আমি করেছি। এছাড়া বাকি কাজ উনিই করেছে বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে, ভোলার সুশীল সমাজের দাবি সূর্যের হাসি ক্লিনিকে প্রসুতি মাকে জোরপূর্বক সিজার করানোর জন্য ঘটনা ঘটেছে তা ন্যাক্কারজনক। এ ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।