বুধবার ● ৬ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » তজুমদ্দিনে ১৪ বছর ধরে এ্যাসিল্যান্ড না থাকায় ভোগান্তি চরমে
তজুমদ্দিনে ১৪ বছর ধরে এ্যাসিল্যান্ড না থাকায় ভোগান্তি চরমে
এম আমির হোসেন/ কামাল উদ্দিন : তজুমদ্দিন উপজেলায় প্রায় ১৪ বছর সময় ধরে সহকারী কমিশনার (ভূমি)‘র এ্যাসিল্যান্ড পদটি শূণ্য থাকায় দাপ্তরিক কার্যক্রমে পাবলিকের ভোগান্তি চরমে আকার দেখা দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। এ অবস্থায় নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ নামজারীসহ বিভিন্ন কাজে ভূমি অফিসে এসে মারাত্মক দূর্ভোগে পড়ছেন।
ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার নির্বাহি কর্মকর্তাগণ এ পদের দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলা পর্যায়ের নানান কাজে ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে ইউএনও কোন সময় দিতে পারছেনা। শ’শ মানুষ এসে তাদের নিজস্ব কাজ সমাধান না করে খালি ফিরতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ একাধিক ভুক্তভুগীদের। সহকারী কমিশনার (ভূমি)‘র পদে এমডি আব্দুস সালাম ২০০১ সালের ১৩ আগস্ট বদলী হওয়ার পর এ উপজেলায় আর কেউ এ্যাসিল্যান্ড পদে যোগদান করেননি। এর ফলে নিয়মিত নামজারী, মিস কেস, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, খাস জমি দখলমুক্ত করণ কাজ সঠিক ভাবে হচ্ছেনা। এছাড়াও ভূমিহীনদের খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান, একসনা ডিসিআর ও বন্দোবস্ত, চান্দিনা ভিটি বরাদ্দসহ জমি জমা সংক্রান্ত প্রায় সকল কাজই স্থবির হয়ে আছে। স্থানীয় ভূমি বিরোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলোর জটলা তৈরী হচ্ছে থানা পুলিশের কাছে।
ভুক্তভুগী আলী আহম্মদ বলেন, ‘নামজারী করার জন্য কয়েক বার অফিসে এসেও পারিনি, স্যার (ইউএনও) অন্য কাজে ব্যস্ত আছেন। পরে এক দলিল লেখকের মাধ্যমে কিছু টাকা দিয়ে করতে হয়েছে’। চর জহিরুদ্দিনের মিনারা বেগম বলেন, ‘বেশ কয়েকবার হয়রানীর শিকার হয়েছি। ইউএনও গণ এ পদের দায়িত্ব থাকা সত্বেও তার প্রশাসনিক কাজের চাপে সময় দিতে পারছেন না। এ কারণে এই উপজেলায় জমি কেনা বেচা কম হয়। সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছেন’।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অফিসের বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। সেক্ষেত্রে ভুমি সংক্রান্ত কাজে যে পরিমান সময় দেওয়া প্রয়োজন সেই পরিমান দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, ভূমি বিরোধসংক্রান্ত বিষয়গুলো জটিল ও সময়সাপেক্ষ। এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের দাবী তজুমদ্দিন উপজেলায় স্থায়ী ভাবে একজন এ্যাসিল্যান্ড নিয়োগ দেওয়া হোক ।