শনিবার ● ২ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলার ফাইভস্টারে জ্বলছে কাঠ
ভোলার ফাইভস্টারে জ্বলছে কাঠ
স্টাফ রিপোর্টার: ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশার পাঙ্গাশিয়া গ্রামে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়াই ফাইভস্টার ইটভাটায় অবৈধভাবে ড্রাম চিমনি ও কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরী করছে। আর সরকারী খাল দখল করে দুই পাশের মাটি কেটে নিয়ে তা দিয়ে ইট তৈরী করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ফাইভস্টার ইটভাটায় হর-হামেসাই হাজার হাজার মন কাঠ মজুদ করে ইট পোড়াচ্ছে। ইটভাটার মালিক আব্দুল খালেক সরকারী নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে ইট তৈরী করছে। অথচ পরিবেশ অধিদপ্তরের আইনে বলা আছে, ম্যাক কিলন, হাইব্রিট হ্যল ম্যান কিলন, ব্রিক কিলন, টানেল কিলন, টিক্যাল স্যাট ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইট তৈরীকরতে হবে। আইনে আরো বলা আছে, লাইসেন্স বিহীন কোন ইটভাটা স্থাপন ও ব্যবহার করতে পারবে না। এমন কি ইট পোড়াতে কোন জ্বালানী কাঠ ব্যবহার করতে পারবেনা। কিন্তু ফাইভস্টার ইটভাটার মালিক আব্দুল খালেক প্রভাবখাটিয়ে অবৈধভাবে ইট তৈরীর কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ফলে আঃ খালেকের ক্ষমতার উৎস নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। ফাইভস্টার ইটভাটার মালিক আব্দুল খালেকের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ভোলা জেলার ইটভাটার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক (প্রস্তুাবিত) মো. মাইনুল হোসেন বিপ্লব বলেন, আমরা আইন মেনে চলার লোক। বে-আইনি সকল কিছুর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ভোলায় কয়েকটি অবৈধ ইটভাটার তালিকা পেয়েছি। খুব শিঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ভোলার পরিদর্শক তোতা মিয়া জানান, এসপ্তাহে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা শুরু হবে।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসক (যুগ্ন সচিব) সেলিম রেজা বলেন, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইলকোর্ট অভিযান অব্যাহত আছে। কোন অবস্থাতেই বেআইনিভাবে ইটভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হবেনা।
প্রশাসন এখনি সঠিক ব্যবস্থা না নিলে পরিবেশ দূষণের সাথে সাথে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ক্ষতি গ্রস্থ হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।