সোমবার ● ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » দৌলতখানে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে কৃষকের গরু মেরে ফেলার অভিযোগ
দৌলতখানে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে কৃষকের গরু মেরে ফেলার অভিযোগ
আদিল হোসেন তপু : দৌলতখানের মদনপুর ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে এক কৃষকের গরু মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে প্রতিহিংসা জের ধরে ক্ষেতের ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে এই বর্বর ঘটনা ঘটেছে। প্রতিপক্ষ মো.হোসেন মাল প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে উঠে আসে অভিযুক্ত ভূমিদস্যু মো.হোসেন মালের আধিপত্য বিস্তারের নানা কাহিনী।
জানা যায়, উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চর পদ্মা (মাঝের চর) গ্রামে নিরীহ কৃষক সাইফুল ইসলামের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে দীর্ঘদিন স্থানীয় ভূমিদস্যু মোঃ হোসেন মাল, সাদ্দাম, ইউসুফদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার বিকাল থেকে সাইফুল ইসলামের একটি গরু হারিয়ে যায়। গরুটি অনেক খোঁজাখুজির পর না পেয়ে স্থানীয় মেম্বার আলাউদ্দিনকে বিষয়টি জানানো হয়। পরের দিন শনিবার সকালে মো.হোসেন মালের ধান ক্ষেতের পাশের খালের ভিতর মৃত অবস্থায় গরুটি পাওয়া যায়। পরে এ বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান একেএম নাছির উদ্দিন নান্নু ও ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আলাউদ্দিন মালকে জানালে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, হোসেন মালের পরিবার এই চরে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। বিভিন্ন অপকর্ম করলেও তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। তারা এই চরে কৃষকের ধান লুট, গরু-ছাগল লুট, জেলেদের সাভার লুট সহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছে। তিন বছর আগে হোসেন মালের ছেলে সাদ্দামের নেতৃত্বে শাজাহান মাঝির গরু জবাই করে খেয়ে ফেলে। পরে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দেয় সাদ্দামের পরিবার। এছাড়াও আমির হোসেন এর ছাগল, মাকসুদের মাছের জাল লুট সহ একাধিক ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
গরুর মালিক সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ভূমিদস্যু মো. হোসেন মাল ও তার পরিবারের লোকদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তারা আমার জমি দখলের জন্য একাধিবার লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে পায়তারাও করে। ওই জমি দখল করতে না পেরে বিভিন্নভাবে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করে। কয়েকদিন আগে আমাকে প্রাণে মারা হুমকি দেয় তারা। শুক্রবার বিকেলে আমার গরু তাদের ধান ক্ষেতে গেলে তারা পা বেধে ঘাড় ভেঙ্গে মেরে ফেলে।
স্থানীয় মেম্বার আলাউদ্দিন বলেন, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে যে এ ন্যাক্কার জনক পশু হত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান একে এম নাসির উদ্দিন নান্নু বলেন, আমি ঘটনা শুনেছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যারা এ ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটিয়েছে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে দৌলতখান থানার এসআই মেহেদী হাসান বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা একাধিক মামলার আসামী। তদন্ত করে আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. হোসেন ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, ঘটনারদিন আমি ভোলাতে ছিলাম। পরের দিন সকালে আমি বিষয়টি জানতে পারি। আমরা পবিবারের কেউ এ ঘটনার সাথে জড়িত ছিলাম না।