সোমবার ● ২১ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলা পৌর নির্বাচনে আচারণ বিধি লংঘন, দুই মেয়র প্রার্থীর পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেল
ভোলা পৌর নির্বাচনে আচারণ বিধি লংঘন, দুই মেয়র প্রার্থীর পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেল
স্টাফ রিপোর্টার: ভোলা সদর পৌর নির্বাচনে আচারণ বিধি লংঘণ, হামলা-মারধরসহ নানা অভিযোগে একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীরা।রোববার জেলা ছাত্রদল অফিসে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রর্থী হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান ও ভোলা প্রেসক্লাবে আওয়ামীলীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
বিএনপি প্রার্থী হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান অভিযোগ করে বলেন, শনিবার বেশ কয়েকটি স্থানে দলীয় প্রচার-প্রচারণ, লিপলেট বিতরণ ও গণসংযোগকালে প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী’র গ্রুপ দলীয় জেলা ছাত্রদল সভাপতি খন্দকার আল-আমিন ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মাসুদের উপর হামলা চালিয়েছে। যত বাধাই আসুক না কেন নির্বাচনের দিন পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দেন তিনি। হরুনুর রশিদ ট্রুম্যান গত আমলের মেয়র ও এবারের মেয়র প্রার্থী মনিরুজ্জামানের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি যে উন্নয়ন করেছে তা আমি অস্বীকার করি না। তিনি তো হলেন মেসি/রোনালদো আমারা হলাম জয় বাংলাদেশী খেলোয়ার আমাদের সাথে খেলতো তার অসুবিদা নাই। আসুুন নির্বাচনী মাঠে খেলুন কে হারে কে জিতে ভোটই কথা বলবে। ৩০ তারিখে জনগণ রায় দিবেন। যদি আপনি উন্নয়নের জোয়ার বয়ে দিয়ে থাকেন রায় আপনার কাছেই যাবে। আর যদি জনগণ আমাকে ও ধানের শীষকে ভালবেসে থাকে তাহলে রায় আমার দিকে যাবে। আমরা নির্বাচন পর্যন্ত সুষ্ঠ পরিবেশ চাই।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম খানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে আওয়ামীলীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির অভিযোগ করে বলেন, প্রচারণায় যাওয়ায়র পথে বিএনপি সমর্থকরা আমার গাড়ির সামনে এসে বাধা সৃষ্টি করে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করে। উল্টো তারাই আবার আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ বিষয়টি জেলা রির্টানিং অফিসারের নিকট লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সংবাদ সম্মেলনে জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলুসহ কাউন্সিলর প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, নির্বচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে উত্তাপ্ত হয়ে উঠেছে ভোলার নির্বাচনী মাঠ। তবে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা মোকবেলা করতে প্রস্তুতি রয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।