বৃহস্পতিবার ● ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলার তিন পৌরসভায় প্রচারণায় ব্যাস্ত প্রার্থীরা
ভোলার তিন পৌরসভায় প্রচারণায় ব্যাস্ত প্রার্থীরা
বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলার তিন পৌরসভায় নির্বাচনী হওয়া বইছে। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচারণার জন্য সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
আবার ভোটারদের কাছে গিয়েও দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ছড়াছড়ি থাকলেও আলোচনায় রয়েছেন মেয়র প্রার্থীরা। কারণ নৌকা ও ধানের শীষের লড়াই ভোটারদের মাঝে বাড়তি উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী করতে প্রার্থীরা এখন ভোটাদের কাছে গিয়ে জনসংযোগ, উঠোন বৈঠক, মিছিল-মিটিং করাসহ নানা প্রত্যাশার বাণী নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে রাত পযর্ন্ত প্রতীক নিয়ে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভীড় করছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
ভোলা সদর পৌরসভার আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদের স্নেহ আর ভালোবাসা নিয়েই বিগত দিনে ভোলা পৌরবাসীর উন্নয়ন করেছি, আগামীতেও মেয়র হিসেবে কাজ করতে চাই। গত ৫ বছরে এ পৌর এলাকায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা বিগত ১৭ বছরেও হয়নি। উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য করে এ নির্বাচনেও আমাকে জয়যুক্ত করবেন এখানকার ভোটাররা।
এদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হারুন অর রশিদ ট্রুমেন বলেন, আসন্ন নির্বাচনে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার আদর্শের প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে জনগণ আরো শক্তিশালী করবে। মনে রাখতে হবে এই ধানের শীষ মার্কা আমার ব্যক্তিগত নয়। এটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের। জনগণ এই নির্বাচনে আমাকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করলে ভোলা পৌরসভাকে দেশের মধ্যে একটি আধুনিক পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলব।
এছাড়া বসে নেই বাংলাদেশ ইসলামী শাসনন্ত্র আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মাওলানা আতাউর রহমান। তিনিও ভোলা পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে পথসভা ও জনসংযোগ করে দলীয় লিফলেট বিতরণ ও ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। তিনি বলেন, জনগণের পবিত্র ভোটের মাধ্যমে আমি নির্বাচিত হলে, পৌরসভার নাগরিকদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি সকল প্রকার সমস্যা সমাধান ও উন্নয়নমূলক কাজ করব।
অরদিকে বসে নেই দৌলুতখান পৌরসভার দলীয় একক মেয়র প্রার্থী আ.লীগ মনোনীত জাকির হোসেন তালুকদার (বর্তমান মেয়র) ও বিএনপির প্রার্থী আনোয়ার হোসেন কাকন। তারাও নিজের বিজয় নিশ্চিত করতে রাতদিন প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বোরহানউদ্দিন পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রধান দুই দলের একক প্রার্থী আ.লীগের মনোনীত বর্তমান পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মনিরুজ্জামান নিজেদের বিজয় ছিনিয়ে আনতে দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি বসে নেই তিন পৌরসভার ৭২ জন পুরুষ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। প্রার্থীরা নিজেদের বিজয়ের জন্য সকাল থেকে শুরু করে রাত পযর্ন্ত ভোটারদের কাছে গিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
একাধিক ভোটারদের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ে করতে প্রার্থীরা এখন ভোটারদের কাছে এসে নানান প্রত্যাশার বাণী শুনাচ্ছেন। আবার অধিকাংশ ভোটাররাও সকল প্রার্থীদেরকেও অনায়াশে ভোট দিবেন বলে আশস্ত করে যাচ্ছেন।
ভোটাররা বলছেন, নির্বাচন এলে প্রার্থীরা অনেক প্রত্যাশার বাণী দিয়ে যান, নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকাই থাকেনা। আর ওই সকল প্রত্যাশার বাণী তাদের মনে ও থাকে না। তারা সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে যার দ্বারা পৌরসভার উন্নয়ন ও সব সময় সাধারণ জনগণের পাশে থাকবে এমন প্রার্থীকে ভোট দিবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন তারা।
বিজয়ের ব্যাপারে সকল প্রার্থীরাই শত ভাগ আশা ব্যাক্ত করেছেন।তবে বিএনপির সমর্থিত প্রার্থীরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন উপহার দিবে বলে প্রশাসনের কাছ থেকে এমন আশা করেছেন।
এব্যাপরে জেলা রিটার্নিং অফিসার সুব্রত কুমার সিকদার বলেন, ভোলার তিনটি পৌরসভার নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য প্রশাসন বদ্ধপরিকর। আশা রাখি সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।