বুধবার ● ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » বোরহানউদ্দিন পৌর নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় ব্যাস্ত প্রার্থীরা
বোরহানউদ্দিন পৌর নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় ব্যাস্ত প্রার্থীরা
আদিল হোসেন তপু: দলীয় প্রতীক নিয়ে নিবার্চন হওয়ায় ভোটের মাঝে নিবার্চনী হওয়া বইতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে মেয়র পদে দলীয় প্রতীক ও কাউন্সিলার পদে প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর পরই মিছিল মিটিং আর পথ সভা ,উঠোন বৈঠকের মধ্যে দিয়ে জম জমাট হয়ে উঠেছে বোরহানউদ্দিন পৌর সভার নির্বাচনি মাঠ। ইতিমধ্যে প্রার্থীদের পোস্টর-ব্যানারে ছেয়ে গেছে গোটা বোরহানউদ্দিন পৌরসভা এলাকা। ভোটারদের ধারে ধারে গিয়ে প্রার্থীরা ভোট প্রার্থনা করছেন। আর ভোটাররা বলছে যেই মেয়র বোরহানউদ্দিন পৌর সভার নাগরিক সুযোগ সুবিধা আরো বৃদ্ধি করবে তাকেই দিবে মূল্যবান ভোট।
প্রথম বার দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পৌরসভা নির্বাচন। নিবার্চনের বাকি আরো ১৪ দিন। এরই মাঝে জমে উঠেছে বোরহানউদ্দিন পৌর সভা নিবার্চন। মেয়র প্রার্থী থেকে শুরু করে কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরাও এখন ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন নির্বাচনী প্রচারণায়। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পযর্ন্ত প্রর্থীরা চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাচনী গণ সংযোগ। সকালে এ গলিতে মিছিল তো, বিকালে অন্য গলিতে উঠোন বৈঠক। আবার কোথাও কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে গণসংযোগে ব্যাস্ত প্রার্থীরা। নির্বাচনে মেয়র-কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের ছড়াছড়ি থাকলেও, আলোচনার কেন্দ্রে অবশ্য মেয়র প্রার্থীরা। বিশেষ করে অনেক দিন পরে নৌকা ও ধানের শীষের লড়াইয়ের ভোটারদের মাঝে ভারতি উত্তেজোনা সৃষ্টি করেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বোরহানউদ্দিনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মনিরুজ্জামান কবির তার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। এসময় তিনি পৌরবাসীর কাছে ধানের শীষে ভোট চান। পরে সাংবাদিকদের বলেন, বোরহানউদ্দিন পৌরসভায় ইতিমধ্যে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। তবে ক্ষমতাশীন দলের নেতার তার দলের নেতাকর্মীদের মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত । এর ফলে নির্বাচনী এলাকায় তারা এক রকম অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে বোরহানউদ্দিন পৌরসভায় যেন একটি শান্তিপূর্ণ নিবার্চন অনুষ্ঠিত হয়। যাতে ভোটাররার নির্বিগ্নে ভোট কেন্দ্রে যেয়ে ভোট দিতে পারে। এসময় তিনি ঝুকিঁপূর্ণ কেন্দ্র গোলোতে প্রশাসনের নজর দারি বৃদ্ধি করার জন্য আহবান করেন।
তিনি আরো বলেন, আমি নিবার্চিত হলে বোরহানউদ্দিন পৌরসভাকে একটি আধুনিক পৌরসভা হিসাবে গড়ে তুলবো। এই পৌরসভার রাস্তা ঘাট ড্রেনেজ ব্যাবস্থা সহ শিক্ষা স্বাস্থ্যের উন্নয়ন করবো। জনগণকে সেবা করবো কোন শোষণ করবো না বলে তিনি আশা ব্যাক্ত করেন।
অপরদিকে আ’লীগের মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম দুপুরে পৌর সভার ৪নং ওয়ার্ডে ও পৌরসভার বিভিন্ন মার্কেটে গণসংযোগ করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বোরহানউদ্দিন পৌরসভা ছিলো একটি ২য় শ্রেণীর পৌরসভা। এই পৌরসভা নাগরিক সুযোগ সুবিধা তেমন ছিলনা বলেলেই চলে। তিনি ২০১১ সালে প্রথম বার মেয়র নির্বাচিত হয়ে এই পৌর সভার নাগরিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি পৌর সভাকে প্রথম শ্রেণীতে উন্নতি করেছেন। ইতিমধ্যে গত পৌরসভার নিবার্চনী ইশতেহার অনুযায়ী ৮০ ভাগ কাজ করেছি। এমনকি নির্বাচনী ইশতেহারের বাইরে যেয়ে বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ঘরে ঘরে গ্যাস পৌছে দিচ্ছি। এছাড়াও আগামীতে নির্বাচিত হলে শিশুদের বিনোদন এর চাহিদা পূরণের জন্য শিশু পার্ক নিমার্ণ কররা পাশাপাশি পৌরসভাকে মাদক মুক্ত ডিজিটাল পৌরসভা হিসাবে গড়ে তুলোব।
বিএনপির মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি তার দলের শিখানো কথা বলছেন। বোরহানউদ্দিনে দল মতের উর্ধ্বে থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রয়েছেন। এখানে পরিবেশ ঘোলাটে করার জন্য তিনি ভিত্তিহীন কথা বলে বেড়াচ্ছেন। এদিকে পিছিয়ে নেই কাউন্সিলার প্রার্থীরা । ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলা প্রার্থী তাজ উদ্দিন খান সহ সকল কাউন্সিলার প্রার্থীরা গণ সংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
আর ভোটারদের দাবি যেই বোরহানউদ্দিন পৌরসভার মেয়র যে হক না কেন এই পৌর সভার নাগরিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি এই পৌরসভাকে যেন মাদক মুক্ত করেন। এছাড়া পৌরসভাকে সর্বজনীন পৌরসভা হিসাবে গড়ে তুলতে হবে এমন দাবি নাগরিকদের।
এদিকে জেলা রিটানিং অফিসার সুব্রত কুমার সিকদার বলেন, ভোলা জেলার ৩ টি পৌরসভার নির্বচান সুষ্ঠ শান্তি পূর্ণ করার জন্য প্রশাসন বদ্ধ পরিকর। আশা রাখি সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারবো ।
৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বোরহানউদ্দিন পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ১ শত ১০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার হচ্ছে ৬৮১৪ জন এবং মহিলা-৬২৯৬ জন।