শুক্রবার ● ২০ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » কথা রাখেনি ভোলা পানি উন্নয়ন বোডের্র কর্তরা
কথা রাখেনি ভোলা পানি উন্নয়ন বোডের্র কর্তরা
স্টাফ রিপোর্টার : কথা দিয়ে কথা রাখেনি ভোলা পানি উন্নয়ন বোডের্র কর্মকর্তারা। গত বর্ষা মৌসুমে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা কথা দিয়েছিলেন, আগমী শুস্ক মৌসুমে ভোলার মেঘনার পারে নদী ভাঙন রোধে কাজ করা হবে। নদী ভাঙন থেকে ভোলাকে যে কোন ভাবে রক্ষা করা হবে। কিন্তু শুস্ক মৌসুম শুরু হলেও নদী ভাঙন রোধে এখনো কাজ শুরু করছেনা পাউবো কর্তৃপক্ষ। এতে ফের আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ভাঙনকবলীত এলাকাবাসী। ফলে নদী ভাঙন থেকে ভোলাকে রক্ষা এবং শুস্ক মৌসুমে নদী ভাঙন রোধে কাজ শুরর দাবিতে ফের আন্দোলনে যাচ্ছে ভোলাবাসী। উত্তর ভোলা বাঁচাও সংগ্রাম কমিটি ও ভোলা-লক্ষীপুর ফেরি বাস্তবায়ন কমিটি যৌথভাবে এ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত কয়েক দিন ধরে ভোলার বিভিন্ন এলাকায় পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে শহরের বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দেয়াল। অবিলম্বে ভোলার নদী ভাঙন রোধে কাজ করা না হলে গণ অনশন ও হরতালসহ কঠিন আন্দোলন করা হবে বলেও জানায় আন্দোলনকারিরা।
এ বিষয়ে উত্তর ভোলা বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক মো. সায়েদ আলী ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, গত বর্ষা মৌসুমে মেঘনার ভয়াবহ ভাঙনে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসা, মক্তব, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনাসহ শত শত একর ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন বহু পরিবার। ওই সময়ে অবিলম্বে নদী ভাঙন রোধের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, সভা, পাউবো কার্যালয় ঘেড়াও, সড়ক অবরোধ কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিল এলাকাবাসী। আন্দোলনের মুখে পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি ভোলার ইলিশা এলাকার মেঘনা নদীর পারে সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ওই এলাকায় এক কর্মী সমাবেশে বলেছিলেন, যে কোন মূল্যে নদী ভাঙনের হাত থেকে ভোলাকে রক্ষা করা হবে। এবং শুস্ক মৌসুমে ভোলার নদী ভাঙন রোধে স্থায়ীভাবে কাজ শুরু করার জন্য ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু ভোলার পানি উন্নয়ন বোর্ড অজ্ঞাত কারনে নদী ভাঙন রোধে এখনো কোন কাজ শুরু করেনি। তাই অবিলম্বে ভোলার মেঘনার পারে স্থায়ীভাবে কাজ শুরু করে নদী ভাঙনের হাত থেকে ভোলাকে রক্ষার দাবিতে তারা ফের আন্দোলন শুরু করেছে।
উত্তর ভোলা বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়সহ ভোলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় পোষ্টারিং করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে পাউবো ভোলার মেঘনার পারে স্থায়ীভাবে কাজ শুরু না করলে ভোলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে গণ অনশন ও হরতালসহ কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও জানান । ভোলা নদী ভাঙন রোধে পাউবো কর্মকর্তাদের গাফিলতিকেও দায়ী করেন তারা।
ভোলা নদী ভাঙন রোধে পাউবো কর্মকর্তাদের গাফিলতিকে দায়ী করে ভোলা-লক্ষীপুর ফেরি বাস্তবায়ন কমিটির সহ-সভাপতি আবু তাহের বলেন, অবিলম্বে ভোলার নদী ভাঙন রোধে কাজ শুরু না করলে আমরা উত্তর ভোলা বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির সঙ্গে যৌথভাবে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করবো।
এ ব্যাপারে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম বলেন, ভোলার নদী ভাঙন রোধে ৩শ’ ১০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের ডিপিটি দাখিল করা হয়েছে। এটা অনুমোদন হলে দরপত্র আহ্বান করে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। এতে প্রায় দেড় মাসের মত সময় লাগতে পারে বলেও তিনি জানান ।