রবিবার ● ১ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » দৌলতখানে বিয়ের আগেই সন্তান প্রসব
দৌলতখানে বিয়ের আগেই সন্তান প্রসব
দৌলতখান প্রতিনিধি: গল্প, নাটক বা সিনেমায় বিয়ের আগেই সন্তানের মা হওয়ার চরিত্র থাকলেও বাস্তবে এ ধরনের ঘটনা নগণ্য। তবে বাস্তবে বিয়ের আগেই একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে নিন্দনীয় এই ঘটনার জম্ম দিয়েছেন ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ফরিদের ষোড়শি কন্যা শারমিন। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী ও শারমিনের পরিবার জানায়, একই বাড়ির আ. রশিদের কলেজ পড়ুয়া ছেলে জাফর (২২) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তারই চাচাতো বোন শারমিনের সাথে শারিরিক সর্ম্পক স্থাপন করে। এ অ-নৈতিক সর্ম্পক একটা সময় পরিনতিতে রূপ নেয় শারমিন গর্ভবতী হবার মধ্যে দিয়ে। ঘটনাটি পারিবারিক ভাবে জানাজানি হলে বাড়ির মুরব্বি আ’লীগ নেতা আব্দুল খালেক শারমিনকে ঢাকায় নিয়ে এ্যবারশন করানোর রায় দেন। বিনিময়ে জাফরের পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা দিতে বলা হয়। শারমিনের দরিদ্র পিতা একটি এনজিও থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমান শারমিনকে এ্যবারশন করাতে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেড়ী হয়ে গেছে। ভ্রুনের বয়স ৫ মাসের বেশী হবার কারনে ঢাকার কোন ডাক্তার রাজি হয়নি এ্যবারশন করাতে। যে কারনে শূন্য হাতেই মেয়েকে নিয়ে ফিরে আসে ফরিদ মিয়া। এরপর শুধুই অশ্রু বির্সজন। এই ঘটনার সঠিক বিচার পেতে মেয়েকে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন ফরিদ মিয়া। সর্বশেষ দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমানের কাছে বিচারের আবেদন করলে তিনি তা সুপারিশ লিখে পুলিশের কাছে পাঠান। কিন্তু কোন কাজে আসেনি। অবশেষে গত ৩০ অক্টোবর শনিবার দুপুর ১২টায় দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি পুত্র সন্তানের জম্ম দেন শারমিন।
শারমিন এ প্রতিনিধিকে জানান, টাকার অভাবে আমি আদালতে মামলা করতে পারছি না। এমনকি প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও করাতে পারছিনা।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত জাফর। এ ব্যাপারে জাফরের পিতা আবদুর রশিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের কোন কথার উত্তর দিতে রাজি হয়নি।