বৃহস্পতিবার ● ২৯ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » মপুরায় ইউনিয়ন বিএনপির আহব্বায়ক আনোয়ার মাস্টারের উপর হামলা
মপুরায় ইউনিয়ন বিএনপির আহব্বায়ক আনোয়ার মাস্টারের উপর হামলা
মনপুরা প্রতিনিধি: ভোলার মনপুরায় উপজেলা বিএনপি’র কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে হাজীর হাট ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক আনোয়ার হোসেন মস্টারের উপর হামলা করেছে ক্যাডাররা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় তার বাঁধের হাটের বাড়ি যাওয়ার পথে এই হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মনপুরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে মামলা প্রস্তুতি চলছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
আহত বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন মাস্টার জানান, গত ২৫ অক্টোবর ভোলা জেলা কার্যালয়ে মনপুরা উপজেলা বিএনপি’র কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে প্রার্থীদেরকে গোপন ব্যালটে ভোট প্রদান করতে হয় ভোটারদের। আমি উক্ত কাউন্সিলে ভোটাধিকার প্রয়োগ করি। সেই থেকে সম্পাদক পদে পরাজিত প্রার্থী বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ. মান্নান হাওলাদার ভোট না দেয়ার অভিযোগ তুলে আমাকে বিভিন্ন রকমের হুমকী-ধামকি দিয়ে আসছিল। ২৫ অক্টোবর কাউন্সিল শেষ করে মনপুরায় ফেরার পথে লঞ্চে আমার কেবিনে গিয়ে আ. মান্নান হাওলাদার’র ছোট ভাই মোঃ হোসেনের নের্তৃত্বে একদল লোক আমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে এবং না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে চাঁদা দাবী করে মোবাইলে হুমকী দিয়ে আসছিল এবং লাঠি-সোটাসহ আমার পথ রোধ করার চেষ্টা করে। তার প্রেক্ষিতে গত ২৮ অক্টোবর আমি মনপুরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের ভিত্তিতে মনপুরা থানার এস. আই মোঃ ফিরোজ তদন্তের জন্য আমার বাঁধের হাটের বাড়ি গিয়ে আমাকে ফোন করেন। বিকেল ৩ টায় আমার কর্মস্থল হাজীর হাট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে আঃ মন্নান হাওলাদার ও তার ছোট ভাই মোঃ হোসেন আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার একপর্যায়ে হোসেন আমাকে ধরে রাখে আর মান্নান হাওলাদার আমাকে মারধর করে। আমার ডাক-চিৎকার শুনে আমার বাড়িতে তদন্ত করতে আসা এস. আই ফিরোজ ছুটে আসলে হামলা কারীরা চলে যায়। পরে এলাকাবাসী আমাকে মনপুরা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে।
এব্যাপারে মনপুরা বিএনপি’র সাবকে সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আঃ মান্নান হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কিংবা আমার ছোটভাই তাকে মারধর করেনি। আমি শুধু আমার জমি দিয়ে না হাটার কথা বলেছি।
এব্যাপারে মনপুরা থানার এস. আই পিরোজ আলম বলেন, আমি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের জন্য আনোয়ার হোসেন মাষ্টারের বাড়ি গিয়েছিলাম। তাকে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। আমি ঘটনা স্থলে আসলে মান্নান হাওলাদার তার জমি দিয়ে না হাটার কথা বলেন। এদিকে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব সামস্ উদ্দিন বাচ্চু চৌধুরী উক্ত ঘটনা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। পাশাপাশি দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন তিনি।