মঙ্গলবার ● ২৭ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » মনপুরায় আ’লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সহ আহত- ২৫
মনপুরায় আ’লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সহ আহত- ২৫
সীমান্ত হেলাল, মনপুরা প্রতিনিধি: ভোলার মনপুরায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় রামনেওয়াজ নতুন মৎস্য ঘাটে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মেম্বার সহ ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় আলাউদ্দিন চেয়ারম্যান ও আলমগীর মেম্বারকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের বাংলা বাজারের পার্স ব্যবসায়ী রুহুল আমিনের কাছে ঢাকার ব্যবসায়ী পিন্টু দেড় লক্ষ টাকা পাবে। সেই টাকা উঠানোর জন্য আলাউদ্দিন চেয়ারম্যানের ছোট ভাই লিটন হাওলাদার ব্যবসায়ী রুহুল আমিনকে মারধর করে আলমগীর মেম্বারের মাছের গদি ঘরে। এসময় আলমগীর মেম্বারের ছোট ভাই সাহাবুদ্দিন বাঁধা দিলে সকাল ১০ টায় প্রথম সংঘর্ষ বাঁধে। পরে ১১ টায় কলাতলীচর থেকে আলাউদ্দিন চেয়ারম্যানের ৪ টি ট্রলারে করে লোকজন আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে আলমগীর মেম্বারের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আলমগীর মেম্বারের লোকজন লাটিসোঠা নিয়ে নদীরপাড়ে অবস্থান নেয়। দুপুর ১২ টার দিকে আলাউদ্দিন চেয়ারম্যান স্পীডবোটযোগে রামনেওয়াজ ঘাটে আসার খবরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে রামনেওয়াজ মৎস্য ঘাটে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আলাউদ্দিন চেয়ারম্যান, আলমগীর মেম্বার, আলাউদ্দিন হাওলাদার, ওলিউল্লাহ, নিপুর, লিটন, কামরুল, মমিন, সামছুদ্দিন, আজিজ, আলাউদ্দিন, ওসমান, শরীফ, নোমান, শামছুদ্দিন, আলমগীর মেম্বার, রুহুল আমীন (সাবেক মেম্বার), বাছেদ, বিপ্লব, বাবুল, নাহিদ, মিজান সহ ২৫ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ ৮ থেকে ১০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেন। এতে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মোস্তফা মেম্বার, কামরুল, জুয়েল বলে জানা যায়।
সংঘর্ষের ঘটনায় মনপুরা থানা পুলিশ নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হলেও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এব্যাপারে মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি এসআই মো. আলী জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি ছুড়া হয়েছে। তবে কত রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে তিনি বলতে পারেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ও তিনি জানান।
এদিকে সংঘর্ষরে ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষ পরস্পরকে দোষারোপ করছেন। এ ঘটনায় ইউনিয়ন আ’লীগের আহত যুগ্ন সম্পাদক ও ইউপি মেম্বার আলমগীর মেম্বার বলেন, ভূমিদস্যু আলাউদ্দিন চেয়ারম্যান কলাতলী চর থেকে জলদস্যু এনে আমাদের উপর হামলা ও গুলি করে। আলাউদ্দিন চেয়ারম্যান যুবদল থেকে আ’লীগে যোগদিয়ে ত্যাগি আ’লীগ কর্মীদের উপর হামলা করেছে।
অন্যদিকে আহত আলাউদ্দিন চেয়ারম্যান বলেন, প্রতি হিংসা পরায়ন হয়ে ওরা আমাদের উপর আক্রমন করেছে। এতে আমাদের অনেক লোকজন আহত হয়েছে।