শনিবার ● ১৭ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » পিস্তল হাতে ওলামালীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ
পিস্তল হাতে ওলামালীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ
ঢাকা : শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ওলামা লীগের আক্তার হোসেন ও আবুল হাসানের নেতৃত্বাধীন অংশকে প্রথমে ধাওয়া ও পরে মারধর করে ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী ও মো.দেলোয়ার হোসেনের অংশ।মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগের দু�গ্র�পের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং হয়েছে। শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আওয়ামী ওলামা লীগ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি গ্র�প ও ঢাকা মহানগর ও কদমতলী থানা ওলামালীগের অন্য একটি গ্র�পের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা ইলিয়াস বিন হেলালী ঢাকা মহানগর ও কদমতলী থানা ওলামালীগের অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন।ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার সময় কদমতলী থানা ওলামালীগের নেতাকর্মীদের হাতে পিস্তল ও লাঠি দেখা যায়। ধাওয়া খেয়ে টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি ও সম্পাদকের নেতৃত্বাধীন গ্র�পটি পিছু হটে। এসময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। কিলঘুষিতে ও টানাটানিতে অনেকের পাঞ্জাবী ছিঁড়ে যায় এবং মাধার টুপি রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর পুলিশ এসে টাঙ্গাইল ওলামা লীগের নেতাকর্মীদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেয়।সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা ইলিয়াস বিন হেলালী বলেন, মহানবীর (স.) কার্টুন ছবি পত্রিকায় ছাপা নিষিদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা চাওয়ার জন্য আমরা এ কর্মসূচির আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু ওরা এসেছিল বিশৃঙ্খলা করতে। আসলে পালিয়ে যাওয়া গ্র�পটি ওলামা লীগের কেউ নয়, তারা হলেন জামাত শিবিরের কর্মী। যদি তাদের ব্যানারে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা শেখ হাসিনার পাশে আছি স্লোগান লেখা ছিল।অপরদিকে টাঙ্গাইল ওলামা লীগ মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করে।তবে এ ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত হয়নি।ওলামা লীগের আক্তার হোসেন ও আবুল হাসান অংশের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর কথা যেন বলতে না পারি সেজন্য হেলালী বাহিনী আমাদের মারধর করে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বের করে দেয়। হেলালী বাহিনীর বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের অভিযোগও করেন তিনি। আবুল হাসান অভিযোগ করেন, হেলালীর কয়েকজন সন্ত্রাসী হকিস্টিক, লাঠিসোটা দিয়ে মারধর শুরু করলে তাদের ১৬ নেতাকর্মী আহত হয়।ঢাকা মেডিকেলসহ কয়েকটি হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে বলেও জানান তিনি।অবশ্য অপর অংশের সভাপতি ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সকালে প্রেস ক্লাবের সামনে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করতে চাইলে হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীর মদদে তারা আমাদের বাধা দেয়। পরে আমাদের লোকজন তাদের ওখান থেকে সরিয়ে দেয়।