নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন ভোলার সুলতানা

বিশেষ প্রতিবেদন• ভোলায় কৃষি কাজে পুরুষরাই অগ্রগামী। কিন্তু পুরুষের পাশাপাশি কৃষি, হস্ত শিল্পে উদ্যোগী নারী হিসেবে ভোলা সদরের চর সামাইয় ইউনিয়নের নাসরিন সুলতানা সাফল্য লাভ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। শুন্য থেকে শুরু করে এখন তিনি লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছেন। এই সুবাদে নিজে যেমনি হয়েছেন স্বাবলম্বী তেমনি স্থানীয় বেকার যুবকদের মাঝে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে এক অনুকরণীয় যুবতী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি নারী উদ্যোগক্তা হিসেবে কৃষি ও সমবায়তে অবদান রেখে সফলতা অর্জন করে পুরস্কারও পেয়েছেন। র্দীঘ দশ বছর পূর্বে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তের সহযোগিতায় আইসিএম প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন সুলতানা। এরপর থেকে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন, গুটি ইউরিয়া ব্যবহার, জৈব সার উৎপাদন সহ আধুনিক কৃষিতে অবদান রাখছেন। বর্তমানে তার বাড়ীতে জৈব ও কেচো সার উৎপাদন ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। এখন তার নিজস্ব জমি ছাড়াও এলাকায় কৃষকও কৃষাণীদের নিয়ে কেচো সার ব্যবহার করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। গ্রামীণ অর্থনীতিতে নারী উদ্যোগক্তা হিসেবে আইপিএম কৃষক মাঠ স্কুলের সদস্য হিসেবে প্রথম  কার্যক্রম শুরু করে শাক সবজি চাষের মাধ্যমে ।

সেখানে স্থানীয় চরসামাইয়া ভোলা ব্লকের সেরা কৃষাণী হিসাবে ২০০৯ সালে পুরস্কার লাভ  করেন। পরবত্তিতে একই ব্লকে আইসিএম কৃষক মাঠ স্কুলের সদস্য হলে ২০১২ সালে একই ব্লকের সেরা কৃষাণী পুরস্কার লাভ করেন। ঐ প্রকল্পে গুটি ইউরিয়া প্রস্তুত ও সদস্যদের মধ্যে বিনা মূল্যে বিতরণ করে থাকেন ইউএসআইডি (আপি) এর সহযোগীতার ফলে কৃষি সম্প্রসারণ ভোলার মাধ্যমে ঐ ব্লকের কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হয়ে আসছেন। তারা লোনাসহিষূ ধান, ডাল সহ কোন্দাল ফসল ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। নাসরিন সুলতানা ২০১৩ সালে বরিশাল বিভাগীয় পর্যায়ে সমবায় ব্যাবস্থাপনা (সিডিএফ) প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ করে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন। এ প্রশিক্ষণের ফলে এলাকায় সমিতির ভুক্ত সদস্যদের মধ্যে ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসুচীর মাধ্যমে কৃষি কাজে যথেষ্ট সহয়াক হিসেবে কাজ করছেন। এ প্রশিক্ষণের ফলে এলাকায় বাল্যবিবাহ রোধ, নারী শিক্ষাও স্কুলে ঝরে পড়ারোধে অবদান রেখে যাচ্ছে। এছাড়া তিনি ২০০১৪ সালে সমবায় বিভাগ কর্তৃক ঢাকা চিনমন্ত্রী সম্মেলন কেন্দ্র হেন্ডিই ক্যাস্প এর ষ্টল দিয়ে প্রসংশিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাছ থেকে সনদ পত্র গ্রহণ করেন । গ্রামীণ নারীদের আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য তাদেরকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ যেমন বসত বাড়ী ভিটায় শাক সবজি ফলন ও হাঁস মুরগী পালন, কেচো সার উৎপাদন মৎস্য চাষ ইত্যাদি কৃষি কার্যক্রম করে যাচ্ছেন। এসব কার্যক্রম করে এলাকায় ব্যাপক প্রসংশা অর্জন করে সফলতা লাভ করছেন।