বৃহস্পতিবার ● ১৫ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » লালমোহন হাসপাতালের অর্থোপেডিক ডাক্তার মহিবুর রহমান জনরোষে অবরুদ্ধ
লালমোহন হাসপাতালের অর্থোপেডিক ডাক্তার মহিবুর রহমান জনরোষে অবরুদ্ধ
লালমোহন প্রতিনিধি• ভোলার লালমোহন সদর হাসপাতালের অর্থোপেডিক ডা. মো.মহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল চলাকালীন রোগী না দেখে চেম্বারে পাঠিয়ে চিকিৎসার নামে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। এঘটনায় সাধারণ রোগীদের মাঝে ক্ষোভের শেষ নেই। রোগীদের একটাই প্রশ্ন তিনি ডাক্তার না কসাই ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বদরপুর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড আত্তর আলী মিঝি বাড়ীর মো, নয়নের শিশু কন্যা অন্তরা (৫) নামের এক শিশু বুধবার সকাল ৭টার খেলতে গিয়ে দা দিয়ে বাম হাতের তনজি আঙ্গুলে অধিকাংশ কেটে পেলে। পরিবারের লোক জন দিশেহারা হয়ে শিশুটিকে লালমোহন সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
এমতাবস্থায় হতভাগ্য শিশুটির অভিভাবকের সাথে স্থানীয় লোকজনের সাথে যোগাযোগ হলে তিনি লালমোহন সদর হাসপাতালের ডা. মহিবুর রহমানের কথা বলেন । শিশুটির অভিভাবকগণ সকাল ১১টার দিকে ডা. মহিবুর রহমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে ডা. তাদেরকে ভোলা সদর হাসপাতালে না নিয়ে লালমোহন সদরে তার চেম্বার সুমন ড্রাগ হাউজে নিয়ে আসার কথা বলেন । পরবর্তীতে তারা সুমন ড্রাগ হাউজে শিশুটিকে নিয়ে পৌছালে ডাক্তার সাহেব শিশুটিকে দেখে বলেন ওর আঙ্গুল জোড়া দিতে হবে এতে তাকে তিন হাজার টাকা দিতে হবে । তখন অনেক মিনতি করে ডাক্তারকে আড়াই হাজার টাকায় রাজি করিয়েছি বলে জানান শিশুটির বাবা নয়ন। তিনি আরো জানান, আমাদের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা নিয়ে শিশুটির আঙ্গুল জোড়া দেওয়ার পরির্বতে আঙ্গুলটিকে কেটে ফেলেন। এঘটনায় বুধবার রাত ৮ টার দিকে শিশুটির অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন ক্ষোদ্ধ হয়ে ডাক্তারকে প্রায় ঘন্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখেন। অবশেষে ডাক্তার জনরোষে পরে দেড় হাজার টাকা ফেরৎ দিতে বাধ্য হন বলে জানা গেছে। এব্যাপারে ডা.মহিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শিশুটির আঙ্গুল জোড়া দেয়ার কথা থাকলে ও শিশুটির আঙ্গুলের যেহেতু রগ কেটে গিয়ে চামরার সাথে ঝুলে ছিল তাই আঙ্গুল জোড়া দেওয়া সম্ভব ছিলনা । এজন্য আঙ্গুলটিকে কেটে ফেলতে হয়েছে। চিকিৎসার জন্য রোগীর অভিভাবকদের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি সূ-কৌশলে এড়িয়ে যান ।
সূত্রে আরো জানা যায়, লালমোহন সদর হাসপাতালের শুধু একজন ডাক্তারই নয় এরকম একাধিক ডাক্তার রয়েছেন যারা হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়া সাধারণ রোগীদের এক্সরে করানোর নাম করে পরবর্তীতে তাদের নিজস্ব চেম্বারে আসতে বলেন এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। চিকিৎসা সেবা হোক ঝামেলাহীন ও দূর্নীতিমুক্ত এমনটাই দাবী করছেন লালমোহন উপজেলার ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ ।