মঙ্গলবার ● ১৩ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দুই তরুণ নেতার দৌড়ঝাঁপ
ভোলায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দুই তরুণ নেতার দৌড়ঝাঁপ
স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। বিশেষ করে সরকারী দল এবং বিএনপি দলীয় দুই তরুণ প্রার্থীর দৌড়ঝাঁপে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে নিজ দলের নেতৃবৃন্দের আশির্বাদ পাওয়ার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নেই একাধিক প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। পাশাপাশি তারা ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ ও মন জয় করার জন্য ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোষ্টার, ব্যানারে আলোকিত করেছেন গোটা এলাকা। কেউ কেউ আবার নেতা-কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে শোডাউন করেছেন। তবে প্রচার-প্রচারণায় আলোচনার র্শীষে রয়েছেন দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের বিএনপি দলীয় প্রার্থী মীর মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন এবং ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের সরকার দলীয় আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ কামাল হোসেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চরপাতা ইউনিয়নের বিএনপি দলীয় প্রার্থী মীর মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বিগত ১০ বছর যাবত তার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি অলি-গলি, হাট-বাজার চষে বেড়াচ্ছেন। দলমত নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। নিয়মকরে প্রতি সপ্তাহের দু-তিন দিন তার এলাকায় ঘুরতে বের হন। অন্যদের মতো মীর মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন দলবলে সঙ্গী-সাথি নিয়ে বের হন না। তিনি একাকি সকল ভোটারদের কাছে গিয়ে তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। তার এই পদক্ষেপকে সাধারণ মানুষ একটু ভিন্ন চোখে দেখছেন। এমনকি তাকে সকলেই খুব আপন করে নিয়েছেন।
আসন্ন ইউপি নির্বাচন এবং ব্যতিক্রমধর্মী পদক্ষেপ সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোট চাইতে তিনি এলাকায় জান না। ভোট তিনি চানও না। যখন ভোট আসবে, তখন সাধারণ মানুষ তার কর্ম-দক্ষতার মাধ্যমেই তাকে গ্রহণ করে নেবে।
তবে মীর মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ইউপি নির্বাচনে তিনি বিএনপি থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন। তখন দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে দৌলতখান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন হাওলাদারকে সমর্থন যোগান। নাজিম উদ্দিন হাওলাদার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর বিতর্কিত কর্মকান্ড, সরকারী দলের সাথে আতাত ও দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গসহ নানান অভিযোগে তাকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করায় মীর মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের জন্য পথ সুগম হয়েছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, নাজিম উদ্দিন হাওলাদারকে বহিস্কার না করলেও এলাকায় তার জনপ্রিয়তা শুন্যের কোটায় নেমে গেছে। অপরদিকে সাংবাদিক মীর মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের দলের জন্য যে ত্যাগ-তিতিক্ষাসহ স্থানীয় জনসাধারণের সাথে সু-সম্পর্ক থাকার কারণে তার অবস্থান সু-দৃঢ়। তাছাড়া সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিমের একান্ত ঘনিষ্টজন হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তার । অন্যদিকে উপজেলা ও জেলা বিএনপির তৃণমূল থেকে শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সু-দৃষ্টি গিয়াসের প্রতি থাকায় তার অবস্থান সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য।
অপরদিকে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগ ও বর্তমান আওয়ামীলীগ নেতা বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ কামাল হোসেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে মাঠে বেশ ঝড় তুলেছেন। তিনি ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোষ্টার ও ব্যানারে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সরকার দলীয় তরুণ প্রার্থী হিসেবে তার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। এলাকার সকলেই চাচ্ছেন তরুণ একজন লোক তাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোক।
স্থানীয়রা জানান, কামাল হোসেনের পারিবারিক ঐতিহ্য এবং ছোট থেকে তার আচার-আচরণে এলাকার সাধারণ মানুষ মুগ্ধ। সামাজিক কর্মকান্ডেও তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ও অবদান রয়েছে। তারমত এমন তরিতকর্মা ও তরুণ নেতাকেই চাচ্ছে। তার প্রচেষ্টায় দক্ষিণ দিঘলদী আওয়ামীলীগ এখন সক্রিয়। আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরাও তাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে পাওয়ার জন্য দাবী জানিয়েছে। এছাড়া তার প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদেরও সু-দৃষ্টি রয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষের কল্যাণে তার সচেষ্ট ভূমিকা রাখায় সাধারণ মানুষ তার প্রতি ঝুকে পড়েছেন।