শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
রবিবার ● ১১ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » অপরূপ সৌর্ন্দযের লীলাভূমি মনপুরাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণার দাবি
প্রথম পাতা » জেলার খবর » অপরূপ সৌর্ন্দযের লীলাভূমি মনপুরাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণার দাবি
৬২৬ বার পঠিত
রবিবার ● ১১ অক্টোবর ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

অপরূপ সৌর্ন্দযের লীলাভূমি মনপুরাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণার দাবি

---

বিশেষ প্রতিবেদন
• বাংলাদশেরে সর্ব দক্ষিণে চারদিকে নদী বেষ্টিত বৃহত্তম সাগর দ্বীপ জেলা ভোলা। আর এই জেলার পূর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর মহনায় জেলার মূল ভূ-খন্ড থকে বিচ্ছিন্ন রূপালী এক দ্বীপের নাম মনপুরা। এই মনপুরায় কী সৌর্ন্দয্য লুকিয়ে আছে যা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে অপার সম্বাবনা পুরনো এই দ্বীপে।

অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি:
চারদিক থেকে মঘেনা নদী বষ্টেতি সবুজ শ্যামল ঘরো অপরূপ সৌর্ন্দয্যর লীলাভূমি এই মনপুরা। এই মনপুরা উপজেলাটি দাঁড়িয়ে আছে বাড়তি এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের শোভাবর্ধন করে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সৃষ্টির আশায়। চারপাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিভিন্ন রকমের সৌন্দর্যের লীলাভূমি নিয়ে। এখানে আসলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কোলাহল, বিশাল সমুদ্র সৈকত, সূর্য্যদ্বয় ও সূর্যাস্তসহ নানান সৌন্দর্যের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। সুবিশাল মঘেনা নদী, চর্তুদিকে বেড়িবাঁধ, বিভিন্ন প্রকার সবুজ স্যামল ফসলের ক্ষেত, বিশাল ম্যানগ্রোভ প্রজাতরি গাছরে বাগানে সমৃদ্ধ। এখানে না এলে বোঝাই যাবেনা সবুজরে দ্বীপ এই মনপুরায় কী সৌর্ন্দয্য লুকায়তি আছে। পর্যটনের কী অপার সম্বাবনা লুকিয়ে আছে পুরনো এই দ্বীপে। বিশ্ব বিখ্যাত সমুদ্র কন্যা কুয়াকাটার পর ভালো ভাবে মনপুরাতে দাঁড়িয়ে সূর্য্যদ্বয় ও সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়। এখানে মায়াবী হরিণ, বিশাল গরু-মহিষের পাল, মেঘনার মাঝ নদীতে ল্যান্ডিং স্টেসন, ম্যানগ্রোভ বাগান, চৌধুরী ফিসারিজ লিমিটিডে, দ্বীপের মত খন্ড খন্ড একাধিক চর, শীতের হাঁস, মহিষের কাঁচা দধি, টাটকা ইলিশ, পুকুরের দেশি বড় কই, মাগুর, কোরাল, বোয়াল ও গলদা চিংড়ি এসব মিলিয়ে সমৃদ্ধ উপজেলা মনপুরা। অপরূপ সৌর্ন্দয্যর লীলাভূমি মনপুরাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা এখন শুধুই সময়রে দাবি।
---
মায়ায় বেঁধে রাখে মায়াবী হরিণ :
এই দ্বীপে রয়েছে প্রায় ৩০ সহস্রাধিক হরিণের পদচারণায় মুখরতি কয়েকটি ম্যানগ্রোভ বাগান। এটি উপজলো সদর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দক্ষিণে আলম নগরের পাশে অবস্থতি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রায় ৮/৯ বছর আগে গ্রীস্মের প্রচন্ড উত্তাপে মিঠা পানরি সন্ধানে হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ থেকে অনকেগুলো হরিণ দল বেঁধে মনপুরার লোকালয়ে চলে আসে। তখন থেকে উপজলো বনপ্রহরীরা এসব হরিণকে বিভিন্ন বনে অবমুক্ত করে। এর পরই মনপুরার বিভিন্ন ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল হরিণের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। এতদনি দূর-দুরান্ত থেকে আগত পর্যটকরা মনপুরায় এসে হরিণ দেখার স্বপ্নপূরণ করতে পারতনা। এমনকি মনপুরার সৌর্ন্দয্য পিপাসু মানুষ ও বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে হরিণ দখতে হতো। কিন্তু গত ৭/৮ বছর আগে থেকইে এলাকাবাসীর নজরে আসে সহস্রাধকি হরিণের পদচারণায় মুখরতি কেওড়া বনগুলো। প্রতিদিন ভোর বলো, ভরদুপুর ও সন্ধ্যার র্পূব মূর্হূতে গেলে হরিণের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। র্দুলভ এই হরিণগুলোকে একনজর দখোর জন্য প্রতিদিন শত শত পর্যটক ওই স্থানে ভিড় জমান। এব্যাপারে মনপুরা উপজেলা রঞ্জে র্কমর্কতা মো. আবুল কালাম জানান, আলম নগর সংলগ্ন কেওড়া বনে হরিণ রয়েছে। বনটি ছোট হওয়ায় সেখানে হরিণের জায়গার সংকুলান হচ্ছে না। র্কতৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান। অন্যদেিক এলাকাবাসী জানান, জীববচৈত্রি রক্ষায় হরিণ গুলোর প্রতি বন বিভাগের আরো তরিক্তি নজর দেয়া উচতি।

যেখানে দাঁড়িয়ে সূর্য্যদ্বয় ও সূর্য্যাস্ত দেখা যায় :

মনপুরায় আসা র্পযটকদরে জন্য সবচেয়ে গুরুত্বর্পূণ বিষয় হচ্ছে সূর্য্যাদ্বয় ও সূর্য্যাস্ত দেখা। আর এটা মনপুরায় এসে খুব ভাল ভাবইে দেখা যায়। র্পযটন কেন্দ্র সাগর কন্যা কুয়াকাটার পর মনপুরায় দাঁড়িয়েই র্সূয্যাস্ত ও র্সূয্যাদ্বয় দেখা যায়। মনপুরার হাজীর হাট লঞ্চ ঘাটে অবস্থতি ল্যান্ডিং স্টিসনে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত মনোজ্ঞভাগে র্সূয্যাস্ত দখো যায়। এবং হাজীর হাট ইউনিয়নের দক্ষিণ-র্পূব প্রান্তে প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার র্দীঘ সমুদ্র সকৈতে দাঁড়েিয় সকাল বেলায় লাল কুসুমের মত র্সূয্যাদ্বয় দেখা যায়। প্রতিদিন ভোরে এই খানে এসে দাড়ালে মনে হবে বিশাল র্সূয্যটি ঝলমল করে সমুদ্রের ভিতর থেকে আকাশের গা বেয়ে উঠে আসছে। আবার যখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে তখন মনে হয় র্সূয্যটি আকাশের গা ঘেঁসে সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে আস্তে আস্তে মিলিয়ে যাচ্ছে। ভ্রমণ পিপাসুরা এ সৌন্দর্য দেখে রীতিমত মুগ্ধ হয়। অনেক ভ্রমণ বিলাসীরা এখানে আসেন দৃষ্টি নন্দনের জন্য।

পর্যটকদের জন্য বিশেষ আর্কষণ:
একসময় এই দ্বীপে র্পতুগীজদরে আস্তানা ছিলো। তারই নির্দশন হিসেবে দেখতে পাওয়া যায় কেশওয়ালা কুকুর। এই কুকুর যে একবার দেখবে সেই এই কুকুর সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ার লোভ সামলাতে পারবেনা। এছাড়া মনপুরায় সবচেেয় আর্কষণীয় বিষয় হচ্ছে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির সারিসারি বাগান। মনপুরা মূল ভূ-খন্ডে ২০ টির বেশি ম্যানগ্রোভ বাগান রয়েছে।
এছাড়া মনপুরায় ছোট-বড় ৮/১০ টি চর ও বন বিভাগের প্রচষ্টোয় গড়ে উঠেছে সবুজরে সমাহার। শীত মৌসুসে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির কলকাকলীতে মুখরতি থাকে এসব চরাঞ্চলের সবুজ বঞ্চাল। এই সকল বনে রয়েছে গেওয়া, গড়ান, কেওড়া, বাইন, রেইনট্রিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ। এখানে রয়েছে ঘুঘুসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির পাখির অভয়ারণ্য। শীতের মৌসুমে কোন সু-দূর থেকে আসা অতিথি পাখিরা এসে এখানে নিজের রাজ্য খুঁজে পায়। মত্ত হয় জলকেলি বনের নিবিড় গভীরে বাসা বাঁধার স্বপ্নে। এসকল বনে কোনো হিংস্র পশুর ভয় না থাকলেও বনে রয়েছে শিয়াল, বন বিড়াল, অসংখ্যক হরিণ, সাপসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি। তবে দিনের বেলায় সাপগুলো চোখে পড়ে না। রাতের বেলায় এরা চলা- ফেরা করে।

মনপুরা ল্যান্ডিং স্টেসন:

মনপুরার অপরূপ সৌর্ন্দযরে সাথে মনপুরা ল্যান্ডিং স্টেসন যুক্ত হয়ে মনপুরার সৌর্ন্দযকে আরো বাড়িয়ে দাড়িয়েছে। গত জোট সরকাররে আমলে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা ল্যান্ডিং স্টেসনটি ঠায় দাঁড়িয়ে আছে মেঘনার বুকে। এখানে না গেলে বলে বোঝানো যাবেনা। এই ল্যান্ডিং স্টেসনটির ব্রীজ আকৃতির। এই ল্যান্ডিং স্টেসনে উঠে উত্তাল মেঘনার মাঝে চলে যাওয়া যায়। এখানে দাঁড়িয়ে সন্ধ্যা বেলায় র্সূয্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য অবলোকন করা যায় অনায়াসে। তাই এটি র্পযটকদরে প্রধান আর্কষণে পরিণত হয়েছে। মনপুরায় আসবেন আর ল্যান্ডিং স্টেসনে যাবেন না তা কি হয়। প্রতিদিন বিকেল থেকে গভির রাত র্পযন্ত শত শত র্পযটকের উপস্থিতি এখানে লক্ষ করার মত। এখানে মেঘনার  ঢেউয়ের সাথে দোল খাওয়ার মত এক অর্পূব অনুভূতি সৃষ্টি হয়। সৈকতে নেমে যেনো হাটি হাটি পা পা করে চলে যাওয়া যায় দূর থেকে অনেক দূরে। ঢেউয়ের পানিতে সমুদ্রের বিভিন্ন প্রকার শামুক তীরে উঠে আসে। কিনারায় সাদা বালির ঝলকানি  যেনো মন ভরে দেয়। বালির উপরে ছোট ছোট পায়ে দৌঁড়ে চলে লাল কাঁকড়া। আর এসব কাঁকড়া ইচ্ছা করলেই ধরা ছোঁয়া যায় না। ধরতে গেলেই লুকিয়ে যায় আপন ঠিকানায়।
---
চৌধূরী ফিসারিজ লিমিটেড:
মনপুরার সদর ইউনিয়নে অবস্থতি উপজেলা চত্বর থেকে ২ কিলোমিটার উত্তর-র্পূব পাশে গড়ে উঠেছে ব্যাক্তি মালিকানাধীন মনপুরা ফিসারজি লিমিটেড। প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ২শ ১০ একর জমিতে গড়ে ওঠা মনোমুগ্ধ কর পরিবেশে গড়ে তোলা খামার বাড়িটি হয়ে উঠতে পারে র্পযটনরে একটি বিশেষ বিনোদন স্পট হিসেবে। খামার বাড়িতে সারি সারি নারকিলে গাছ ও বৃহৎ আকৃতির প্রায় ২০ টি দিঘি রয়েছে। এছাড়া খামার বাড়িটিতে বিভিন্ন প্রকার মনোমুগ্ধকর উপকরণ যোগ হয়ে করে তুলেেছ আরো দৃিষ্টনন্দন। সবুজে ঘেরা এই খামার বাড়িটি হতে পারে পর্যটকদরে বাড়তি আরেকটি আর্কষণ।

মনপুরায় এসে যা খেতে ভুলবেন না :

শীতের হাঁস, মহিষের কাঁচা দধি, টাটকা ইলশি, পুকুরের দেশী বড় কই, মাগুর, কোরাল, বোয়াল ও গলদা চিংড়ি মনপুরার মানুষরে নিত্য খাবারের তালিকায় রয়েছে। এছাড়া মেঘেনা নদী থেকে ধরে আনা টাটকা ইলশি তো আছেই। ভ্রমন পিপাসু যে র্পযটকই এখানে আসবনে তারা যনে এসব প্রাকৃতকি খাবার খেতে ভুলবেন না।

সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা :
মনপুরার মানুষ সহজ সরল প্রকৃতির। সামাজিক মূল্যবোধ মনপুরার মানুষরে প্রধান পায়েথ। “জান দেব তো মান দেবনা” এই সূত্রে প্রাকৃতিকভাবে বশ্বিাসী হলেও জাতি, র্ধম, র্বন ও গোত্র সবাই মিলেমিশে একাকার হয়ে মনপুরার মানুষ সমাজে বসবাস করে। এখানকার মানুষ অতথিপিরায়ন। র্অথনৈতকি অবস্থা বিবেচনা করলে এখানকার মানুষ কৃষি ও মৎস্য সম্পদরে উপর নির্ভরশীল। মনপুরার শতকরা ৮০ শতাংশ লোকই কৃষক ও মৎস্যজীবি। বাকী মানুষ চাকরী ও ব্যাবসার উপর নর্ভিরশীল।

মনপুরায় যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা :
এতকিছু ভালোর মাঝে কিছু সমস্যাতো রয়েই যায়। র্পযাপ্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাই মনপুরার প্রধান সমস্যা। মন চাইলইে যে কোনো সময় যে কেউ মনপুরায় আসতে অথবা যেতে পারবেনা। এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে রুটিং মাফিক। প্রতদিনি ঢাকা সদর ঘাট থেকে একটি লঞ্চ বিকেল সাড়ে ৫ টার সময় মনপুরার উদ্দেশ্য  ছেড়ে পরদিন সকাল ৭ টায় মনপুরায় এসে পৌছে। ওই লঞ্চটি আবার হাতিয়া থেকে দুপুর ১২ টায় ছেড়ে মনপুরায় আসে দুপুর ১ টায়। এক ঘন্টা যাত্রা বিরতি শেষে দুপুর ২ টায় রামনেওয়াজ ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। মনপুরার মানুষ যে লঞ্চে ঢাকা থেকে মনপুরায় আসেন আবার সইে লঞ্চেই ঢাকায় যেতে হয়। এছাড়াও যদি কেউ জরুরী ভিত্তিতে ঢাকায় যেতে চান তাহলে ভোর ৭ টায় ঢাকা থেকে আসা লঞ্চে রামনেওয়াজ ঘাট থেকে হাতিয়া যেতে হয়। সেখান থেকে হাতিয়ার চৌরাঙ্গি হয়ে ৪নং ঘাট (চেয়ারম্যান ঘাট)  থেকে নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে গাড়িতে চড়ে মাত্র ৪/৫ ঘন্টায় ঢাকায় যাওয়া যায়। এছাড়া ঢাকা কিংবা বরিশাল থেকে আসতে গেলে ভোলা হয়ে তজুমদ্দনি সী-ট্রাক ঘাট  থেকে মনপুরায় আসা যায়। সী-ট্রাকটি প্রতিদিন সকাল ১০ টায় মনপুরার হাজীর হাট ঘাট থেকে  ছেড়ে দুপুর সাড়ে ১২ টায় তজুমদ্দনি ঘাটে গিয়ে পৌছে। আবার ওই দিন বিকেল ৩ টায় তজুমদ্দনি সী-ট্রাক ঘাট থেকে ছেড়ে বিকেল ৫ টায় মনপুরার হাজীর হাট ঘাটে এসে পৌছায়। অপরদিকে চরফ্যাশনরে বেতুয়া ঘাট থেকে মনপুরার জনতা বাজার রুটে প্রতদিনি দুইটি লঞ্চ চলাচল করে। এছাড়া প্রতিদিন মনপুরার সাকুচয়িা ঘাট থেকে ১ টি লঞ্চ আলকেজান্ডার এর উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। আবার সপ্তাহে ২ দিন সোম ও বৃহস্পতিবার হাজীর হাট লঞ্চ ঘাট থেেক চয়োরম্যান ঘাট (৪ নং ঘাট) এর উদ্দেশ্য সকাল ৯ টায় ছেড়ে যায় এবং পরদনি সকাল ৯ টায় মনপুরার উদ্দেশ্য ছেড়ে আসে এই রুটে মূলত চট্টগ্রামরের যাত্রীরা পারাপার করে। এপ্রিল থেকে নভম্বের পর্যন্ত নদীপথটি ভয়ানক হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় এই রুটে আরকেটি সী-ট্রাকরে দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় যাত্রীরা। এছাড়া বর্তমানে সময়ের সাথে পাল্ল¬া দিয়ে এখানে চালু হয়েেছ আধুুনিক যানবাহন স্প্রীডবোট। মনপুরার রামনেওয়াজ ঘাট  থেকে যে কেউ ইচ্ছা করলে অল্প সময়ে তজুমদ্দিন কিংবা চেয়ারম্যান ঘাট দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্য  যাত্রা করতে পারবে।

মনপুরা সর্ম্পকে বিভিন্ন মহলরে বক্তব্য :

মনপুরায় ১দিনের জন্য ঘুড়তে এসে সাবকে বিচারপতি ও তত্বাবধায়ক সরকাররে সাবকে প্রধান উপদষ্টো মরহুম মুহাম্মদ হাববিুর রহমান বলনে, আমার শেষ বয়সে মনপুরায় ঘুরতে এসে র্কমহীন জীবনরে স্বাদটুকু আমি এখানে পেয়েছি। মনপুরার প্রাকৃতিক  সৌর্ন্দয ও এখানকার মানুষের আতিথেয়তা আমাকে এতটাই মুগ্ধ করেছে যে বাকি জীবনটা এখানেই থেকে যেতে ইচ্ছে করছে। বুঝতে পারছি বাংলাদশেরে স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেন মনপুরায় সফরে এসে এখানে একটি চিন্তা নিবাস স্থাপন করতে চয়েছিলেন ! তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয় স্বাধীনতার ৪ দশক পরেও বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল। র্উবশী মনপুরার নিজস্ব যে রূপ বিদ্যমান যদি সরকার মনপুরাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে শুধুমাত্র ঘোষণা দেয় তাহলে ব্যক্তিগত উদ্যোগইে অনকে দৃিষ্টনন্দন উপকরণ ও স্থাপনা এখানে গড়ে উঠবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
মনপুরায় বেড়াতে এসে মনপুরার প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্যে মুগ্ধ হয়ে দৈনকি যুগান্তর পাত্রকার সাহত্যি সম্পাদক কবি জুননু রাইন বলনে, মনপুরা বাংলাদশেরে ব-দ্বীপ ভোলার মধ্যে রূপের দিক দিয়ে আরকেটি ব-দ্বীপ। এর চারদিকে বেষ্টিত জলরাশি, উত্তাল মেঘনা, সবুজের মহাসমারোহ, মানুষের আতিথেয়তা, মায়াবী হরিণ আমাকে মায়ার বাঁধনে আবদ্ধ করেছে। আমার স্মৃতিপিটে বারবার ভেসে ওঠে মনপুরার স্বপ্নময়তা। যেন আবার ছুটে যাই মনপুরায়।
মনপুরাকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে উপজলো নির্বাহী অফিসার এরশাদ আলী খাঁন বলনে, মনপুরাকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার মত বহু উপকরণ রয়েছে। আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি মনপুরাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে। ইতি মধ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদশে সরকাররে পর্যটন কর্পোরেশনের পর্যবেক্ষক দল মনপুরা ঘুড়ে গেছেন। তারা মনপুরার প্রাকৃিতক দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ছেনে এবং সন্তোশ প্রকাশ করছেনে। আবারো মনপুরাকে র্পযটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সংশ্লি¬ষ্ট র্কতৃপক্ষের বরাবর আবেদন করব বলে তিনি জানান।
মেঘনার পলি দিয়ে গড়া সবুজের প্রাকৃিতক রূপের অপার লীলাভূমি অতিথি পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত, মায়াবী হরিণের জাদুর পরশ সমৃদ্ধ এই মনপুরাকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা এখন সময়রে দাবী। ভোলা জেলার প্রাচীন এই দ্বীপকে র্পযটন নগরী হিসিবে গড়ে তুলতে প্রথমে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করছেন এই দ্বীপরে সচতেন মহল। সকালে ঝিঁকিমিকি র্সূয্যের কিরণ আর সন্ধ্যার সোনালী আভায় যে মনপুরা দাঁড়িয়ে আছে তার রূপ বর্ণনা শেষ করা প্রচুর সময়ের ব্যাপার। শুধু এটুকু বলা যায়, দখতে দেখতে আঁকাশে হওয়া রাত্রী শেষে র্সূয্যের সাথে জেগে ওঠে নতুন এক মনপুরা। তাইতো মনপুরার রূপ অর্বণনীয়। মনপুরার লক্ষাধিক মানুষরে প্রাণের দাবি মনপুরাকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে এখন প্রয়োজন শুধুমাত্র সরকারের ঘোষণা। এখানে যে উপকরণ রয়েছে তা দিয়ে পর্যটকদের নজর কাড়া সম্ভব। মনপুরাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সরকার সামান্যতম উদ্দ্যোগ নিলে পাশাপাশি খুব দ্রুত এগিয়ে আসবেন ব্যক্তিগত উদ্যোক্তারা এমনটাই মনে করছেন মনপুরা বিত্তবান ও পর্যটন সচতেন মহল।





জেলার খবর এর আরও খবর

ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড
উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায়
ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত
ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময়
চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস
ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ!
ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী
ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
আজ ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মোঃ হাবিবউল্লাহ’র ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মোঃ হাবিবউল্লাহ’র ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।