মঙ্গলবার ● ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে ভোলার কামাররা
কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে ভোলার কামাররা
স্টাফ রিপোর্টার• ভোলায় কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে কামার পাড়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে। কেউ ভারি হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন দগদগে লাল লোহার খন্ড। কেউ শান দিচ্ছেন, কেউবা আইতনা দিয়ে কয়লার আগুনে বাতাস দিচ্ছেন। ক’দিন পর মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা বা কোরবানীর ঈদ। এ কোরবানীর ঈদে গরু-ছাগল-উট কোরবানী পশু হিসেবে জবাই করা হবে। আর এসব পশুর গোশত কাটতে দা-বটি, চুরি-ছোড়া, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার অপরিহার্য। এজন্য গৃহস্থ ব্যতিব্যস্ত দা-বটি, চুরি-ছোড়া, চাপাতি শান দিতে। এদিকে ধাতব সরঞ্জামাদী শান দিতে কামার পাড়াগুলোতে ভিড় বাড়ছে মানুষ। ভ্রাম্যমান কামাররা চষে বেড়াচ্ছেন জেলার বিভিন্ন ছোট-বড় হাট-বাজারে। আর ভ্রাম্যমান কামারদের কাছে পেয়ে মহা খুশি গ্রাম অঞ্চলের মানুষেরা। যেহেতু কামারদের দোকান গুলোতে ভীর বেড়েছে সেহেতু গ্রামে হলে মন্দ কি। আবার কেউ কেউ কাছে পেয়েও সে সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন না। জানতে চাইলে তারা জানান, ভ্রম্যমান কামারদের দেওয়া শান তেমন ভালো হয়না। জেলা জুড়ে এখন কামারীদের ব্যস্ততা লক্ষ্যনীয়। জেলার ৫ পৌরসভা ও ৭টি উপজেলায় সবস্থানে এমন ব্যস্ততার দৃশ্য চোখে পড়ার মতো। জেলার বিভিন্ন পৌরসভা ও উপজেলার ছোট-বড় বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় পাঁচ শতাধিক কামারশালায় কামাররা ব্যস্ত সময় পার করছে। কামাররা জানান, কোরবানী উপলক্ষে দৈনিক আয় ৫-৬হাজার টাকা হলেও অন্যান্য সময়গুলোতে তা আয় হয়না। বর্তমানে কামার শিল্পকে গিলে খাচ্ছে চায়না বাজার। ভোলা পৌর সদরের অবস্থিত কামারশালার বিক্রেতারা জানান, দা আকৃতি ও লোহা ভেদে ২শ’ থেকে ৩শ’ ৫০টাকা, ছুরি ৫০ থেকে ২শ’ টাকা, চাকু প্রতিটি প্রতিটি সর্বোচ্চ দেড়শ টাকা, হাড় কোপানোর চাপাতি প্রতিটি ৩শ’ থেকে ৫শ’টাকা এবং ধার করার স্টীল প্রতিটি ৫০ থেকে ২০০ টাকা করে বেচাকেনা হচ্ছে। পুরানো যন্ত্রপাতি শান দিতে ১শ’ থেকে ২শ’ টাকা নিচ্ছেন বলে জানান।