ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নকে রক্ষার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার • মেঘনার ভয়াল হাত থেকে ভোলার ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নকে রক্ষার দাবীতে ১৭ সেপ্টেম্বর বৃৃহস্পতিবার ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ইলিশা-রাজাপুর রক্ষায় ‘ভোলা বাঁচাও’ সংগ্রাম কিমিটির আহবায়ক সাহেদ আলী। তিনি ভোলাকে রক্ষায় ১০ দিনের আন্দোলন কর্মসূচীর ঘোষণা করেন।  তিনি আরো জানান, ভোলা সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ও ১নং রাজাপুর ইউনিয়নের প্রায় দুই মানুষ মেঘনার ভয়াল ভাঙ্গনে বিপর্যস্থ। মেঘনার ভয়াল ভাঙ্গনে গত দুই মাসে ইলিশা ইউনিয়ন ও রাজাপুরের প্রায় ৫বর্গ কিলোমিটার এলাকা নদী গর্ভে  বিলীন হওয়ায় প্রায় ৩ হাজার পরিবার ঘর বাড়ী হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সব চেয়ে বড় কথা বর্তমানে যে হারে মেঘনা ভেঙ্গে চলছে তাতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রায় শতাব্দী বছরের পুরনো ইলিশা জংশন বাজারের প্রায় ৫শতাধিক পরিবার এবং শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এতে প্রায় ৫শ হেক্টর আবাদী জমি ২ হাজার পরিবার এবং ৩টি কলেজ এবং মাদ্রাসা সহ ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেঘনার ভয়াল গ্রাসে পতিত হবে। হাজার হাজার পরিবার তাদের বাসস্থান হারাবে।
প্রাকৃতিক গ্যাস সমৃদ্ধ দ্বীপজেলা ভোলায় ভাঙ্গনের কবলে পড়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদ হুমকির মুখে পড়েছে। শাহবাজপুর গ্যাস ফিল্ড, বিদ্যুৎ প্লান্ট, আড়াই লাখ টন খাদ্য শস্য, ৮টি ডিগ্রী কলেজ, একটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, ১০টি বরফ কল, ১৪৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২০ টি ব্যাংক ও ১০০টি মোবাইল টাওয়ারসহ গুরুপ্তপূর্ন স্থাপনা রয়েছে এ ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে। তাই জেলার ১৭ লাখ মানুষের সম্পদ ও জীবন রক্ষা করতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুছ ও সদর উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোবাশ্বের উল্লাহ চৌধুরী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ এবং ইলিশা, রাজাপুর ও ‘ভোলা বাঁচাও’ কমিটির সদস্য সচিব নুরে আলম প্রমুখ।