সোমবার ● ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন ভোলার জেলেরা
হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন ভোলার জেলেরা
বিশেষ প্রতিনিধি • ভরা মৌসূমেও ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশের দেখা মিলছে না। জালে কাঙ্খিত মাছ ধরা না পরায় চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন ভোলার জেলেরা। পাশাপাশি লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এ অবস্থায় জেলেদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এদিকে মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নদীতে ইলিশ কমে গেছে।
সূত্রে জানা যায়, বছরের পর বছর ধরে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি ছেকে জীবন-জীবিকা চালাচ্ছেন দ্বীপজেলা ভোলার জেলেরা। গত মৌসূমে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়লেও এ বছর দেখা মিলছে না রূপালী ইলিশের। তবুও, প্রতিদিনই আশায় বুক বেঁধে নদী-সাগরে ছুটছেন তারা। কিন্তু অধিকাংশ জেলেকেই ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে।
মাছ না থাকায় নদী পাড়ে নৌকা ভিড়িয়ে জাল বুনেই অলস সময় পার করছেন জেলেরা। এতে ইলিশ নির্ভর এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা পড়েছে সঙ্কটের মুখে। মহাজনের ঋণ পরিশোধসহ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। কালাম, নাছির ও মিজান নামের জেলেরা বলছেন, মাছের আশায় প্রতিদিনই নদীতে যাই, কিন্তু নদীতে মাছ নাই। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টের মধ্যে আছি। গৃহবধু নসিমা বলেন, গাংগে মাছ আছে আমাদের খাওন আছে। গাংগের মাছ গেছে; আমাদের খাওনও গেছে।
এদিকে দাদন ব্যবসায়ীদের দাবি, দাদনের টাকা পরিশোধ না করে, জাল ফেলে পালিয়ে যাচ্ছেন জেলেরা। এতে মূলধন হারিয়ে আর্থিক সঙ্কটে পড়তে হচ্ছে তাদের। এ ব্যাপারে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রীতিষ কুমার মল্লিক বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভরা মৌসূমেও নদীতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না।’ জেলেদের আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিলেন ভোলার জেলা প্রশাসক (যুগ্ম সচিব) মো. সেলিম রেজা। তিনি বলেন, ‘মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের পাশে কিভাবে দাঁড়ানো যায় সে বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সুপারিশ আমরা সরকারের নিকট উপস্থাপন করব।’
উল্লেখ্য, ভোলায় দু’লাখেরও বেশি মানুষ মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।