বুধবার ● ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » প্রশাসনের নাগের ডগায় বোরহানউদ্দিনে রমরমা কোচিং বাণিজ্যে
প্রশাসনের নাগের ডগায় বোরহানউদ্দিনে রমরমা কোচিং বাণিজ্যে
বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি• বর্তমান সরকারের কোচিং বাণ্যিজের প্রতি কঠোর নজর ধারী থাকলেও ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হচ্ছে না। বরং বীরদর্পে প্রশাসনের নাগের ডগায় কোচিং সেন্টার খুলে স্কুল চলাকালিন সময়ও এ সকল সেন্টারে কোচিং বাণিজ্য চলছে। এসকল কর্মকান্ড প্রশাসন দেখেও অজ্ঞাত করনে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যার ফলে সরকারের নেওয়া মহতি উদ্যোগগুলো ভেস্তে যাচ্ছে।
সূত্রমতে জানা গেছে, বর্তমান সরকার শিক্ষাখাত কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নানা কঠোর পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ। কোন শিক্ষার্থীকে বাধ্য করে প্রাইভেট পড়ানো যাবে না এবং নিজের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রাইভেট পড়াতে পারবে না।
কিন্তু বোরহানউদ্দিন উপজেলার চিত্র ভিন্ন। উপজেলা রোডে ঢুকলেই বেশ কয়েকটি নাম বিহীন কোচিং সেন্টারের দেখা মিলে। এগুলো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা রুম ভাড়া নিয়ে তাদের কোচিং ব্যবসা চালাচ্ছে। এতে প্রায় প্রতি বেচে ৩০ থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থীকে এক ঘন্টা করে জনপ্রতি ৫ শত টাকার বিনিময়ে পড়ানো হয়। ওই সকল রুমের দিকে তাকালে মনে হয় এখানে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস চলছে। কিন্তু একটু কাছে গেলে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের এক গ্রুপ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে অন্যগ্রুপকে পড়ানো হচ্ছে। তা দেখে মনে হয় এখানে প্রাইভেট বাণিজ্য চলছে। এ সড়কে ৩/৪টি রুম ভাড়া নিয়ে শিক্ষকরা তাদের ব্যবসার ধরণ একটু পরিবর্তন করে স্কুলের পরিবর্তে রাস্তার পাশে নেমে পড়েন। শুধু এ উপজেলা রোডেই নয় এরকম কোচিং বাণিজ্য হরহামসে চলছে পুরো উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশের এলাকাগুলোতে।
একাধিক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ জানান, আমাদের কিছু করার নেই; আমাদের সন্তানরা বাড়ীতে এসে বলেন, এস্যারের কাছে প্রাইভেট না পড়লে আমাকে ক্লাসে নানা অজুহাতে নাজেহাল করে। অনেকটা বাধ্য হয়েই সন্তানদের প্রাইভেটে দিচ্ছি। সরকার সৃজনশীল পদ্ধিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থার যে উন্নতি করছেন তাতে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেটের প্রয়োজন হয় না বলেই তারা মত দেন।
এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তপন কুমার বিশ্বাস জানান, মাসিক মিটিংয়ে এ বিষয়ে শিক্ষকদের বুঝাতে চেষ্টা করি। কিন্তু শিক্ষকরা তা মানছে না। এ বিষয়য়ে জেলা অফিসার শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করেছি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন হাওলাদার জানান, এ ব্যপারের আমার জানা নেই। যদি কেউ নিয়ম না মেনে কোচিং বাণিজ্য করে থাকে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি রতন কৃঞ্চ রায় চৌধুরী জানান, এ বিষয়গুলো প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের ব্যাপার। তারপও তিনি যদি পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চান তাহলে আমি তাকে সহযোগিতা করবো।