রবিবার ● ৩০ আগস্ট ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » বোরহানউদ্দিন-ঢাকা নৌ-রুটে নির্ঘূম রাতে যাতীদের আল্লাহ’র নাম নিয়ে পারাপার
বোরহানউদ্দিন-ঢাকা নৌ-রুটে নির্ঘূম রাতে যাতীদের আল্লাহ’র নাম নিয়ে পারাপার
আবদুল মালেক, বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি• বোরহানউদ্দিন- ঢাকা নৌ রুটে ছোট ছোট লঞ্চ দিয়ে পারাপার করছে যাত্রীদের। রাত নির্ঘূম ভয়ে আল্লাহর নাম নিয়ে পারাপার হতে হয় এ উপজেলার যাত্রীদের। ভয়ে অনেকেই ভোলা অথবা হাকিমুদ্দিন রুটে হাতিয়া লঞ্চে যাতায়াত করছে। এ রুটে যাত্রীরা হয়রানী শিকারের জন্য লঞ্চ মালিকদের খামখেয়ালীপনাকে দায়ী করছেন।
সূত্রমতে জানা গেছে, বোরহানউদ্দিন হতে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলো খুবই ছোট লঞ্চ। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এ পারাপারা হতে হয় এ উপজেলা বাসীর। এ রুটে সাদিম, গাজী, বন্ধন, রাসেল প্লাস এ লঞ্চগুলো নিয়মিত ভাবে চলাচল করছে। এ রুটে জাহিদ-৭ মোটামুটি একটি বড় মাপের লঞ্চ। কিন্তু তাতেও রাতে একটু ঝড় হাওয়া আর বাতাস থাকলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাত নির্ঘূম আল্লাহ’র নাম নিয়েই পাড়ি দিতে হয় এ উপজেলাবাসীকে। এতে মাথা ব্যথা নেই সংশ্লিষ্ট লঞ্চ কর্তৃপক্ষের। দীর্ঘ দিন যাবত এ রুটে বড় লঞ্চ দেওয়ার কথা বললেও অদ্যবধি বড় লঞ্চের দেখা মিলেনি। এ ছোট লঞ্চের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন বোরহানউদ্দিন পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম ছোট লঞ্চের পরিবর্তে বড় লঞ্চের দাবী করে আসছে। তার দাবীর প্রেক্ষিতে তাকে সন্তুষ্ট করার জন্য জাহিদ-৭ নামের একটি লঞ্চ দিয়ে এ উপজেলা বাসীকে আশার শেষ বাণী শুনান। এ রুটে ছোট ছোট লঞ্চ হওয়ায় সচেতন কিছু যাত্রীরা একটু কষ্ট হলেও ভোলা ও হাকিমুদ্দিন দিয়ে ঢাকা যাচ্ছে। এতে অনেক সময় যাত্রীদের নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে। এ রুটে ছোট ছোট যে লঞ্চগুলো রয়েছে সেগুলোর মান তেমন ভালো না। সঠিক ভাড়া আদায় করলেও কেবিনের সেবার মান উন্নতি হয় নি। যাত্রীরা অতিরিক্ত টাকা দিলেও তারা সে পরিমাণ সেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দিকে।
মোঃ রুহুল আমিন, কামাল ও জাকির নামের একাধিক যাত্রীরা জানান, বাড়ী থেকে বোরহানউদ্দিন লঞ্চ একটু কাছে বলে এ রুটে যাতায়াত করি। কিন্তু আকাশে একটু মেঘ আর ঝড় হাওয়া হলে এ রুটে ছোট ছোট লঞ্চে রাতে ঘুমাতে পারি না। অধিকাংশ সময় আল্লাহ’র নাম আর দোয়া পড়েই রাত কাটাতে হয়। এ জন্য আর এ লঞ্চ দিয়ে যাবো না। একটু কষ্ট হলেও ভোলা অথবা হাকিমুদ্দিন হাতিয়া বড় লঞ্চ দিয়ে যাতায়াত করবো। লঞ্চ মালিকরা এ উপজেলার মানুষের জীবন নিয়ে ভাবছে না তারা তাদের ব্যবসা নিয়ে ভাবছে। দীর্ঘ দিন যাবত শুনছি এ রুটে বড় লঞ্চ দিবে। এটা শুনেই যাচ্ছি কবে নাগাদ যে তা কার্যকর হবে আর উপজেলা বাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন হবে তা আমাদের জানা নেই। তবে আমাদের বাড়ীর কাছে হিসাবে এ রুটে যদি বড় লঞ্চ দেন আর সেবার বাড়িয়ে দেয় তাহলে আমরা এ রুটেই যাতায়াত করবো।