সোমবার ● ১৭ আগস্ট ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » মনপুরায় বঙ্গবন্ধু চিন্তানিবাসের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল
মনপুরায় বঙ্গবন্ধু চিন্তানিবাসের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল
সীমান্ত হেলাল মনপুরা প্রতিনিধি• বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন আজও বাস্তবায়িত হয়নি। বঙ্গবন্ধু চিন্তানিবাসের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল। ১৯৭০ সালে চিন্তানিবাস গড়ার জন্য ইট,বালু,সিমেন্ট,রড পাঠানো হয়েছিল। চিন্তানিবেসের ভিওিপ্রস্তর রামনেওয়াজ বাজার সংলগ্ন বড় দীঘির পাড়ে স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক বছর পূর্বে মেঘনার তীব্র ভাঙ্গনে সেই নিদর্শনটি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
অথচ, আওয়ামীলীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর মনপুরার সাধারন মানুষ আশায় বুক বেঁধেছিল এবার হয়ত জাতির জনকের সপ্ন বাস্তবায়িত হবে। কিন্তু সেই সপ্ন সপ্নই রয়েগেল। বর্তমানে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখমুজিবুর রহমানের কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জনত্রেী শেখ হাসিনা তার পিতার সেই সপ্ন মনপুরাতে বঙ্গবন্ধু চিন্তানিবাশ গড়ার যে সপ্ন দেখেছিলেন তা দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছেন মনপুরার লক্ষাধিক মানুষ।
উল্লেখ্য, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখমুজিবুর রহমান ১৯৭০ সালের ১২ই নভেম্বর মহাপ্রলয়নকারী ঘূর্ণীঝড়ের আঘাতে লন্ড ভন্ড হয়ে যাওয়া মনপুরায় গরীব অসহায় সাধারন মানুষের পাশে ত্রান নিয়ে বন্যাপরবর্তী সময়ে এসেছিলেন। তিনি নিজ হাতে ত্রান বিতরন করেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নীলাভূমি রুপালী দ্বীপের সহজ সরল মানুষের ভালবাসায় মুগ্ধ হয়ে তিনি মনপুরাকে ভালবেসে ফেলেছিলেন। চর্তুদিকে মেঘনা নদী বেষ্ঠিত সারি সারি কেওরাবাগান পাখির কলকাকলিতে মুখরিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অভিরাম দৃশ্য দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। সৌন্দর্যের এই আভাস ভূমিকে নিজের মনের মত গড়তে চেয়েছিলেন। তাই তিনি চিওবিনোদনের জন্য শান্তির নগড় হিসেবে মনপুরাতে চিন্তানিবেসের পরিকল্পনা করেছিলেন। সারা বছর কর্মব্যস্ততম সময় কাটানোর পর একটু সময় মুক্ত বাতাস ও কিছুটা সময় বিশ্রামে থাকার জন্য বঙ্গবন্ধু চিন্তানিবাশ গড়তে চেয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে (মনপুরা-চরফ্যশন) ভোলা-০৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আলহাজ্জ্ব আবদুল্যাহ আলইসলাম জ্যাকব প্রতিবেদক কে বলেন, জাতির জনকের সপ্ন দ্রুত বস্তবায়নের জন্য আমি ইতি মধ্যে কাজ শুরু করেছি। আশা করি বাস্তবায়িত হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ হোসেন খান জানান, এ দ্বীপটি ভোলা জেলার মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও নানা উপকরন ছড়িয়ে আছে এ দ্বীপে। আর বঙ্গবন্ধু চিন্তানিবাস স্থাপিত হলেই মনপুরা হবে পর্যটকদের আকর্ষণীয় ও দর্শনীয় জায়গা ।