বুধবার ● ১৩ মে ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » মনপুরা ঘাটে সি-ট্রাক রাখার যায়গা নেই, খাল খননের দাবি
মনপুরা ঘাটে সি-ট্রাক রাখার যায়গা নেই, খাল খননের দাবি
বিশেষ প্রতিনিধি:: ভোলার মনপুরা টু তজুুদ্দিন নৌ রুটে যাত্রীবাহী সি-ট্রাক এস.টি শহীদ শেখ কামাল সোমবার থেকে চালু হয়েছে। সিট্রাক চালু হওয়ার ফলে দুই উপজেলার যাত্রীদের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস বইছে। হাজির হাট সি-ট্রাক ঘাটে পল্টুন না থাকায় সিট্রাক মাস্টারসহ সংশ্লিষ্টরা উৎকন্ঠা ও আঙ্কর মধ্যে রয়েছেন। সিট্রাকটি নিরাপদে রাখার জন্য দ্রুত খাল খননের প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল। নতুবা কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে পূর্বের ন্যায় সিট্রাক ডুবে যাওয়ার মত অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে। সিট্রাকটি নিরাপদে না রাখতে পারার অজুহাতে আবারও বন্ধ হয়ে যেতে পারে দীর্ঘ দিন পরে পাওয়া এক মাত্র সিট্রাক।
জেলার দ্বীপ উপজেলা মনপুরার প্রায় লক্ষাধিক লোকের এপারের সাথে ওপারের মানুষের মধ্যে নিরাপদে নৌ যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম সিট্রাক। সিট্রাকটি চালু হওয়ায় ব্যাবসায়ী,চাকুরীজীবী ও সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস বইছে। সিট্রাকটি যাতে বন্ধ না হয় তার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছেন সচেতন মহল। সিট্রাকটি নিরাপদে রাখার জন্য দ্রুত একটি খাল খনন আবশ্যক। সি-ট্রাক মাস্টার মোঃ সৈয়েদের রহমান বলেন,সিট্রাক ঘাটে পল্টুন না থাকায় সিট্রাকটি নিরাপদে রাখার কোন ব্যাবস্থা নেই। আশে পাশে কোন খাল নেই। আমি সবসময় আঙ্ককে আছি। কখন কালবৈশাখী ঝড়ে সিট্রাকটি ডুবে যায়। দ্রুত সিট্রাকটি নিরাপদে রাখার জন্য খাল খনন করা প্রয়োজন। নতুবা এখানে সিট্রাক চালানো সম্ভব হবেনা। ইজারাদার এস.কে ট্রেডার্স এর প্রতিনিধি ভূট্টো ও রাব্বী জানান,সিট্রাকটি নিরাপদে খালের ভিতর রাখার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে যাচ্ছি। তিনি সার্বিক সহযোগীতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। এব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিসেস শেলিনা আকতার চৌধুরী এ প্রতিবেদককে বলেন, খাল খননের ব্যাপারে আমি পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপির সাথে আলাপ করেছি। তিনি খাল খননের ব্যাপারে সরজমিনে গিয়ে দেখার জন্য বলেছেন। আমি প্রতিনিধি পাঠিয়েছি। খাল খননের প্রক্রিয়া চলছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে সীট্রাক রাখার জন্য খাল খননের সমস্যাটির সমাধান হবে বলে তিনি জানান।