শুক্রবার ● ১৪ আগস্ট ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » শুক্রবার মেঘনা নদীর ক্ষতিগ্রস্ত ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে আসছে তোফায়েল ও আনিসুল
শুক্রবার মেঘনা নদীর ক্ষতিগ্রস্ত ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে আসছে তোফায়েল ও আনিসুল
আদিল হোসেন তপু: মেঘনার প্রবল ভাঙ্গনে ও অতিরিক্ত জোয়ারের কারনে ভোলার ইলিশা-লক্ষীপুর সড়কটি মেঘনার নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।নতুন করে বিভিন্ন পয়েন্টে দিয়ে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙ্গনের ঝুকিঁতে আছে ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। এতে করে হুমকীর মুখে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মসজিদ,বাজার সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। নতুন করে হুমকীর মুখে আছে ইলিশা বিশ্ব রোড ফেরীঘাট।
আর এমন অবস্থায় আজ ভোলার ইলিশা এলাকায় মেঘনার নদীর ক্ষতিগ্রস্ত ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে আসছে ভোলার কৃতি সন্তান বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ্ ও পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহামুদ ।
শুক্রবার সকাল ১০ টায় তারা ঢাকা থেকে হেলিকপ্টর যোগে ভোলায় আসবেন। পরে তারা নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবে। সেখানে তারা ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন শেষে এক পথ সভায় অংশ নিবেন।
এদেকে ভোলাকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে সিসি ব্লকের মাধ্যমে রক্ষার দাবিতে ইলিশা-রাজাপুর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করবে।
এছাড়া ও ভোলাকে মেঘনার ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার জন্য গত বুধবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো.সেলিম রেজার সভাপত্বিতে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বলা হয় ভোলার সাথে লক্ষীপুর হয়ে রাজধানী ঢাকা সহ ২১ জেলার সহজ তর মাধ্যম হচ্ছে এই রাস্তা। যা এই এলাকার মানুষের বাধঁ হিসাবে কাজ করতো। এখন এই সড়ক বা বেড়ী বাধটি ভেঙ্গে য্ওায়ায় অনেক ক্ষতি হচ্ছে ভোলা জেলা। এর ফলে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে যেন ভোলাতে পন্য আনা নেয়ায় কষ্ট সাধ্য হচ্ছে তেমনি ভোলা জেলা বিভিন্ন পন্য রাজধনী সহ বিভিন্ন জায়গায় যেত্ওে কষ্ট হচ্ছে। তাই সড়ক ও বেড়ী বাধঁটি রক্ষা করা জরুরী হয়ে পরেছে।
সভায় ভোলার জেলা প্রশাসক মো: সেলিম রেজা বলেন, ভাঙ্গন রোধে যা যা করনিয় তা করার জন্য মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী ভোলা কৃতি সন্তান তোফায়েল আহমেদকে জানানো হয়েছে । আশা রাখি মাননীয় মন্ত্রী ও পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহামুদ ভোলায় আসলে এর একটি ব্যবস্থা হবে বলে তিনি জানান।আর এটি রক্ষা করতে না পারলে ভোলা শহরের পানি প্রবেশ করবে। বন্ধ হয়ে যাবে ভোলার সাথে ২১ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য,ঈদের দিন ভোলা ইলিশা ফেরিঘাট এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়। এতে ভোলা-লক্ষীপুর সড়কের চডার মাথা এলাকার রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে গত ২৬ জুলাই থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর পর দ্বিতীয় ফেরি ঘাট নির্মান করা হলেও সেটিও এখন ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে।