বৃহস্পতিবার ● ৩০ জুলাই ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলায় প্রেমের টানে দেবোরের সাথে ঘর ছাড়লেন ভাবী
ভোলায় প্রেমের টানে দেবোরের সাথে ঘর ছাড়লেন ভাবী
স্টাফ রিপোর্টার : “প্রেম মানে না কোন বাধা ” তাই প্রেমের টানে ঘর ছাড়লেন এবার দেবোর আর ভাবী । আর এতে করে শুরু হল ওই দুই পরিবারের বন্ধে অশান্তি। এমন ঘটনা ঘটেছে ভোলা ইলিশা বাঘার হ্টা গ্রামে। জানা গেছে, ওই গ্রামের হারুন উর রশীদ খলিফার মেয়ে নাহার (২২) এর সাথে সাড়ে চার বছর আগে রাজাপুর শান্তির হাট গ্রামের বিদেশ ফেরত শেখ ফরিদ এর সাথে বিয়ে হয় তাদের । তাদের বিয়ের দুই বছর পরে ঘর আলোকিত করে আসে এক সন্তান। তার নাম রিকতা (৩) । বিয়ের ৭ মাস পরে শেখ ফরিদ চাকুরীর জন্য আবার দুবাই চলে যায়। এসময় তার পরিবারকে সঠিক ভাবে দেখার ভার দিয়ে যায় তার বিবাহিত বৌ নাহারের কাছে। কিন্তুু নাহার এসময় প্রেমে পরে তার ছোট দেবর নুরনবী (১৩) সাথে। তাদের প্রেম এতটাই জমে উঠেছিল যে পরিবার বাধ্য হয়ে নুরনবীকে ঢাকাতে পাঠিয়ে দিতে হয়। কিন্তু প্রেম তো আর কোন বাধা মানে। শুরু হয় তাদের মোব্ইালে কথপথোন। এসময় নাহার কে শেখ ফরিদের মা আমেনা বিবি বার বার বুঝালে ও কোন কাজ হয় নি। নাহার তার মা অসুস্থ্য বলে তার বাবার বাড়ী যাতায়ত করতে শুরু করে। আর এর মধ্যে নুরনবীর সাথে ঘর ছাড়ার পরিকল্পনা করতে থাকে। অবশেষে সম্প্রতি মোবাইলে নুরনবীকে ভোলা আসতে বলে নাহার। ভোলা আসলে প্রেমের টানে তার আড়াই বছরের ফুটফুটে সন্তান রিকতাকে ফেলে দেবর ভাবী ঘর ছাড়ে নিরুর্দেশ হয়।
এব্যাপারে ছেলের মা আামেনা বিবি জানান, আমি আমার বৌ রিকতাকে অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু ও কিছুতেই আমার কথা শোনত না। উল্টো আমি ডাক দিলে আমার সাথে জগরা বিবাধে জরিয়ে যেত। সে আমার ছেলে ৩ বড়ী স্বর্ন,নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বাপের বাড়ী চলে যায়। সেখান খেকে আমার অবুঝ ছোট ছেলেকে ঢাকা থেকে ভুলভাল বুঝিয়ে পালিয়ে যায়। সে এক বারও তার সন্তানের কথা ভাবেনি। এই নিয়ে এখন দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এর জন্য ছেলের পরিবার থেকে মেয়ের পরিবারকেই দায়ী করা হয়েছে। কারণ তারাই ছেলেকে ঢাকা থেকে এনে তাদের মেয়েকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে। এব্যাপারে রাতে ভোলা থানায় একটি জিডির প্রস্তুতি চলছে।