সোমবার ● ১১ মে ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলা সরকারি বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী সংকট : শিক্ষার্থীদের লেখা পড়া বিঘ্নিত
ভোলা সরকারি বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী সংকট : শিক্ষার্থীদের লেখা পড়া বিঘ্নিত
মোকাম্মেল হক মিলন, ভোলা::
ভোলা সরকারি বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী সল্পতা প্রকট আকার ধারন করেছে। শিক্ষক সল্পতায় শিক্ষর্থীদের পড়া লেখা মারাত্নক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে আর অভিভাবকরা ভূগছেন উৎকন্ঠায়। শিক্ষার মান নিন্মমুখী হচ্ছে। এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে সংকট আরো প্রকট হওয়ার আশংকা করছেন বিশিষ্ঠজনেরা। । সূত্র জানায়, ভোলা বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৪জন শিক্ষকের পদ রয়েছে। এর স্থলে ৩২ জন শিক্ষক থাকলেও শূণ্য পদ রয়েছে ২২টি। শূণ্য রয়েছে ২টি সহকারী প্রধান শিক্ষক পদও। এর মধ্যে সহকারী শিক্ষক ২০জন, অফিস সহকারী কাম হিসাব রক্ষক ৪টি পদ এবং ১০ এমএলএসএস পদের মধ্যে ৮টি পদই শূণ্য। অন্যদিকে ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৪জন শিক্ষক এর স্থলে ২৪ জন শিক্ষকের পদ শূণ্য। এর মধ্যে সহকারী প্রধান শিক্ষকের ২টি পদ, সহকারী শিক্ষকের ২২টি পদ, অফিস সহকারী কাম হিসাব রক্ষকের ৪টি পদ এবং ১০ টি এমএলএসএস পদের মধ্যে ৮টি পদ শূণ্য রয়েছে। দুটি বিদ্যালয়েই ১৭০০জন করে ৩৪০০ছাত্র/ছাত্রী রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষক সল্পতায় পাঠ্যক্রম, দাপ্তরিক কাজসহ শিক্ষা কার্য্যক্রম মারাত্নক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। শুধু তাই নয় অনেক গুলো সেকশন একত্র করে ক্লাস পরিচালনা করছেন। এতে করে লেখা পড়া বিঘ্নিত হওয়ায় অভিভাবকরা উৎকন্ঠায় প্রকাশ করছেন। অন্যদিকে ভোলার অনেক শিক্ষক বরিশাল, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলার সরকারি স্কুলে চাকরী করছেন। অথচ ভোলার বাহিরের শিক্ষকরা ভোলায় যোগদানের কিছুদিন পর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বদলি হয়ে চলে যান। তাই ভোলার শিক্ষকদের অন্য জেলা থেকে নিজ জেলায় বদলির দাবী জানিয়েছেন অভিবাবকরা। ভোলা বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকিরুল হক ও ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম মনিরুজ্জামানের সাথে আলাপ কালে তারা জানান, শিক্ষক সল্পতা নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছেন এবং নিয়মিত পাঠ্যদানে চেষ্টা করছেন।
ভোলা জেলার গর্ব ভোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বর্তমান বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোশারেফ হোসেন শাহাজান, সাবেক সচিব এম মোকাম্মেল হক, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সচিব, ডাক্তার, ইনঞ্জিনিয়ার, প্রফেসর, সাংবাদিকসহ অনেক সনামধ্যন্য ব্যক্তিরা এই বিদ্যালয়ে পড়া লেখা করেছেন। কিন্তু বর্তমানে বিদ্যালয় দুটিতে শিক্ষক সল্পতায় মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরী করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষক সংকট দূরী করনে বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের নিকট দাবী জানিয়েছেন ভোলাবাসী।