![আবেদের নাম শুনেছি, কখনও দেখিনি : পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান](https://www.bholarsangbad.com/cloud/archives/2024/07/172053842-micro.jpg)
![ভোলার সংবাদ](https://www.bholarsangbad.com/cloud/archives/fileman/logo-default.png)
রবিবার ● ১২ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » জেলার খবর » চরফ্যাশনে বিডিএস জরিপের নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ
চরফ্যাশনে বিডিএস জরিপের নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশনের দক্ষিণআইচা থানার চর আইচা ও উত্তর চর আইচা, দক্ষিণ চর আইচা।মৌজায় বিডিএস জরিপের নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে দাায়িত্বরত সার্ভেয়ারদের বিরুদ্ধে। তাদের দাবীকৃত টাকা না পেয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিয়ম কৃষকের জমি অন্যর নামে রেকর্ড দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। বৃহস্পতিবার কৃষকের জমির রেকর্ড সংশোধনের করে দেয়ার নামে হাতিয়ে নেয়া ৪০ হাজার টাকা ফেরত চাওয়া জুলফিকার নামের এক প্রবাসীকে মারধর করেছেন। জুলফিকার রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন,।দক্ষিণ চর আইচা মৌজায় দলিল মুলে খরিদা এস.এ ১৩১ নং খতিয়ানে ১ একর ২৮ শতাংশ জমির মালিক তার দাদা আবদুর রাজ্জাক তালুকদারসহ অপর ৫ ভাই। দাদা আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যুর পরে ওই জমি ওয়ারিশ সুত্রে মালিক হন তার বাবা মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার ও চাচারা। বাবা মোজাহারুল ইসলাম তালুকদারের মৃত্যুর পর তিনি এবং তার অপর ৩ ভাই ৫৯ শাতাংশ জমির মালিক হন। বাবার ওয়ারিশ হিসেবে ওই জামিতে বসত বাড়ি করে ভোগ দখলে আসছেন। তারা এলাকায় না থাকায় দিয়ারা জরিপ চলাকালীন সময়ে খতিয়ানে জমির পরিমানে গড়মিল হলে রেকর্ড সংশোধনের জন্য তিনি এবং তার অপর ওয়ারিশরা আপত্তি জানাই। পূর্ববতী জরিপের অফিসাররা পরবর্তী বিডিএস জরিপে তাদের জমির রেকর্ড সংশোধন করে দিবে বলে আশ্বাস দেন।
বর্তমান ওই মৌজায় বিডিএস জরিপ চলাকালীন সময়ে দায়িত্বরত সার্ভেয়ার মাহাবুব রহমান, নজরুল ইসলাম ও আকাশসহ কয়েক জন মাঠ পর্যায় জরিপের কাজ করছেন। চলিত জরিপ চলাকালীন সময়ে তাদের মূল খরিদা দখলীয় জমির রেকর্ডীয় একর ২৮ শতাংশ জমি থেকে কর্তন করে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নুরুনাহার ও অন্য সদস্যদের নামে ৩০ শতাংশ জমি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রেকর্ড দেন। চরমানিকা ভূমি জরিপ অফিসে গিয়ে কারণ জানতে চাইলে কর্মরত সার্ভেয়ার নজরুল ইসলাম ওই রেকর্ড সংশোধন করে দিবেন বলে আমাকে আশ্বাস দেন এবং আমার কাছে ১ লক্ষ টাকা।দাবী করেন। আমি নজরুল ও।মাহাবুব রহমানকে ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করি। বাকী ৬০ হাজার টাকা না পেয়ে আমাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েও আমাদের খতিয়ানের রেকর্ড সংশোধন না করে খতিয়ানের জমি থেকে ৩০ শতাংশ জমি জহিরুল ইসলাম গংদের নামে রেকর্ড দিয়ে দেন। যাহার বিডিএস খতিয়ান নং২১৬৯। বিষয়টি তিনি এবং আমার অপর ওয়ারিশরা চর মানিকা অস্থায়ী জরিপ অফিসে গিয়ে আমাদের খতিয়ান সংশোধন না
করার কারন জানতে চাই এবং আমাদের দেয়া ৪০হাজার টাকা ফেরত চাই। ওই টাকা
চাওয়ায় সার্ভেয়ার নজরুল ইসলাম, মাহাবুব রহমান ও আকাশ আমার ওপর অর্তকিত
হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করে আমার গলায় থাকা মাফলার পেঁচিয়ে আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত সার্ভেয়ার নজরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বাীকার করেছেন।
সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম জানান,বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে প্রবাসী জুলফিকার আলী আমার কাছে অভিযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে
ব্যবস্থা নিব।
- জাহিদ/ সম্পাদনায়: ফরহাদ