বুধবার ● ১৭ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলায় বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, হামলা ভাংচুর, আহত ১৫
ভোলায় বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, হামলা ভাংচুর, আহত ১৫
এইচ এম নাহিদ: ভোলায় বালু বিক্রিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কাঠির মাথা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, মেহেন্দি মালেক, শারিফ, ফাতেমা, সুফিয়া, নাদিম, রমজান, কামরুল, মহিউদ্দিনসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন। এ সময় একটি বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
বসতবাড়ি ভাংচুরে ক্ষতিগ্রস্ত বাবুল অভিযোগ করে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম নকিব ও তার ভাতিজা শামিম মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে মনির মেম্বারকে দিয়ে বিক্রি করেন। বুধবার সকালে ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেন্দি মালেক বাঁধা দিলে চেয়ারম্যান নকিবের নেতৃত্বে মনির মেম্বার, মালেক মেম্বার, সিরাজ, রফিক, শামিম হাওলাদারসহ তার পালিত প্রায় ৩শতাধিক ক্যাডার বাহিনী আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। আমাদেরকে এলোপাথারি ভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় আমার বসত ঘরে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর করে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। এদিকে মনির মেম্বার বলেন, আমি বালি বিক্রি করতে গেলে মেহেন্দি মালেক আমার কাছে ১লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এতে চেয়ারম্যান তাকে জিজ্ঞেস করলে মেহেন্দি মালেক, বাবুল ও তার ছেলে চেয়ারম্যানের উপর আক্রমণ করে। এ সময় আমাদের ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
এ ব্যাপারে কাচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম নকিব বলেন, মেহেন্দি মালেক আমার মেম্বারের কাছে ১লাখ টাকা চাঁদা দাবি করলে আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেই। ঘটনা শান্ত করার জন্য উভয় পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টাকালে আমি একটু ব্যথা পাই। পরে উত্তেজিত জনতা তাদের বসত বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে। ভোলা সদর মডেল থানার (ওসি) এনায়েত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।