

বৃহস্পতিবার ● ২৮ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » জেলার খবর » দৌলতখানে পৃথক নির্বাচনী সংঘর্ষে আহত- ৫০
দৌলতখানে পৃথক নির্বাচনী সংঘর্ষে আহত- ৫০
স্টাফ রিপোর্টার: দৌলতখানের বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন মদনপুরে প্রতিপক্ষ নৌকার প্রার্থীর ক্যাডারদের হামলায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জামাল হোসেন চকেট এর নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্বতন্ত্র প্রর্থী জামাল অভিযোগ করেন, বুধবার রাতে নৌকার প্রার্থী নাসিরুদ্দিন নান্নুর নেতৃত্বে তার পালিত ক্যাডার দুর্ধর্ষ ডাকাত বাবর, মহিউদ্দিন, ফারুক দৌলত, নোয়াব, খালেক, ভুট্ট ও ইসমাইলসহ শতাধিক সন্ত্রাসীর পরিকল্পিত ভাবে তার অফিসে এসে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এতে তার সমর্থিত ৩০ জন নেতা কর্মীকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে আহত করেন। এসময় কয়েকজন কর্মীকে নদীতে নিক্ষেপ করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় বুধবার রাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী জামাল হোসেন চকেট দৌলতখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসিরুদ্দিন নান্নু ঘটনার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে তা অস্বীকার করেন।
এছাড়া একই রাতে উপজেলার চর খলিফা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়ির সামনে মেম্বার প্রার্থী রাহাদ তালুকদার (ফুটবল) তার সমর্থকদের নিয়ে একটি সভার আয়োজন করেন। ওই সময় একই স্থান দিয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক প্রার্থী ইয়ার হোসেনের (তালা) সমর্থকরা মোটরসাইকেল নিয়ে একটি শোডাউনে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের আরো ২০ জন আহত হন।
এসময় উভয় পক্ষের ১৩ টি মোটর বাইক ও একটি ঔষধের দোকান ভাংচুর করা হয়।
স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে দৌলতখান ও ভালো সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বজলার রহমান ঘটনার নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে উভয় ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ১১ নভেম্বর দৌলতখানের পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।