

মঙ্গলবার ● ৫ জানুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » জেলার খবর » লালমোহনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাংবাদিকের জমি দখল
লালমোহনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাংবাদিকের জমি দখল
লালমোহন প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহন আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থানীয় সাংবাদিকের জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে।মঙ্গলবার সকালে লালমোহন পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের ওয়াস্টের্ণ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পৌর ৮নং ওয়ার্ড এলাকার আবু মিয়ার কাছ থেকে জমি ক্রয়পূর্বক বাড়িঘর তৈরি করে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর যাবত বসবাস করে আসছেন দৈনিক সংবাদ পত্রিকার লালমোহন প্রতিনিধি সাংবাদিক শাহীন কুতুবের পরিবার।
কিন্তু ওই জমিতে লোলুপ দৃষ্টি পরে একই দাতার কাছ থেকে জমি ক্রেতা শাহজানের ছেলে পিন্টু ও আবদুল মালেকদের। তারই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিকের জমি জবর দখলের উদ্দেশ্যে স্থানীয় প্রভাবশালীদের নের্তৃত্বে জোরপূর্বক দেয়াল তুলে প্রতিপক্ষরা।
সাংবাদিক শাহীন কুতুব অভিযোগ করেন, আমরা শান্তি প্রিয় ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। স্থানীয় পর্যায়ে মিমাংসা না পেয়ে জমির বিরোধ মেটাতে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। গতকাল সোমবার (৪ জানুয়ারি) ভোলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করি। যার বাদী আমার চাচা মোঃ হারুন অর রশিদ। পরে বিরোধীয় ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত এবং উভয় পক্ষের মাঝে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে নির্দেশনা দেয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আজ (মঙ্গলবার) সকালে পুনরায় দেয়াল নির্মাণ শুরু করে আবদুল মালেক। এসময় তাদেরকে বাধা দিতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঠি সোটা নিয়ে তেড়ে আসে। পরে এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মোঃ মাকসুদুর রহমান মুরাদ কে জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি। আর এ সুযোগে তরিঘরি করে প্রায় দুই তৃতিয়াংশ দেয়াল তুলে ফেলে আবদুল মালেকরা। পরে দুপুরে পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আবদুল মালেক বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে, এটা আমরা জানতাম না। পরে লালমোহন থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে আমরা কাজ বন্ধ করে দেই।
লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, ১৪৪ ধারা মানে কারো কাজ বন্ধ করা নয়, ১৪৪ ধারা হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা যাতে বিনষ্ট না হয় সেটা দেখা। এখানে আইন শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়নি।
এদিকে আদালতের নির্দেশ ভঙ্গ ও সাংবাদিকের জমি দখলরোধে স্থানীয় প্রশাসনিক সাহায্য না পাওয়ায় লালমোহনে সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দেয়।
-এসকে