বুধবার ● ২১ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলায় ইট ব্যবসায়ীকে মামলা দিয়ে বসতবাড়ি থেকে উৎখাতের চেষ্টা
ভোলায় ইট ব্যবসায়ীকে মামলা দিয়ে বসতবাড়ি থেকে উৎখাতের চেষ্টা
বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলায় নিজ বাড়িতে ওরকাইত যায়গা দিয়ে ভূমিদস্যুদের মিথ্যা মামলা ও লুটপাট, হামলা, নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে নিরীহ ইট ব্যবসায়ী আমির হোসেন। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী, বাগানের সুপারী, পুকুরের মাছ লুট, বসতবাড়ি থেকে উৎখাত করার জন্য বিভিন্নভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ভূমিদস্যু মামলাবাজ আকবর ও শাহে আলম গংদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে একাধিকবার শালিশ, মিমাংসা হলেও শাহে আলম গংদের নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না আমির হোসেন। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ইট ব্যবসায়ী আমির হোসেনের পরিবার। ওরকাইতের এহেন কর্মকান্ডে স্থানীয় জনমনে আতংক বিরাজ করছে। সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইট ব্যবসায়ী আমির হোসেন তার ২.৭৬ শতাংশ জমিতে আকবর ও শাহে আলম গংদের ওরকাইত হিসেবে যায়গা দেয়। যায়গা দেওয়ার পর থেকে একটি ভূমিদস্যু চক্রের ইন্ধনে জমির মালিক আমির হোসেনকে নারী ও শিশু নির্যাতন, চাঁদাবাজী মামলাসহ একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে শাহে আলম, আকবর, কাশেম ও তার লোকজন। শাহে আলম গংদেরকে জমি থেকে চলে যেতে বললে আমির হোসেনকে বিভিন্ন সময় মারধর সহ বাড়ি ঘরে হামলা চালায় শাহে আলম গংরা। এ ব্যাপারে শাহে আলম গংরা শালিসদারদের সামনে কাগজপত্র প্রমান করতে না পারায় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ২০১৬ সালে সার্ভেয়ার মোঃ মোসলেউদ্দিন কবিরকে জায়গা জমি মাপিয়া দেওয়ার নির্দেশ দেন। জমি মেপে প্রকৃত জমির মালিক আমির হোসেনকে জমি বুজিয়ে দিয়ে শাহে আলমকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, আ’লীগ নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিশ মিমাংসা করে দিলে একটি ভূমিদস্যু চক্রের ইন্ধনে শাহে আলম ও তার লোকজন পুনরায় ওই জমিতে ঘর উত্তোলন করে নিরাহী ইট ব্যবসায়ী আমির হোসেনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। এসব মামলাগুলোর কোন প্রমাণ না পেয়ে বিজ্ঞ আদালত তা খারিজ করে দেন। তারপরও থেমে থাকেনি ভূমিদস্যু শাহে আলম আমির হোসেনকে বাড়ি থেকে উৎখাত করার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন। গত রবিবার (১৮ আগস্ট) আমির হোসেনের ভোগদখলীয় জমিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে বাগান থেকে সুপারী ও পুকুরের মাছ লুট করে নিয়ে যায় শাহে আলম ও আকবর গংরা। মামলাবাজ শাহে আলম গংদের এসব মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ করতে গিয়েও এলাকার বহু সাধারণ মানুষ মামলার আসামী হয়ে জেল খাটতে হয়েছে। ভুক্তভোগী ইট ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, শাহে আলম গংদেরকে আমার জমিতে ওরকাইত হিসেবে ঘর উত্তোলন করে বসবাস করার সুযোগ দেই। সেই থেকে একটি ভূমিদস্যু মহলের ইন্ধনে শাহে আলম, আকবর ও কাশেম গংরা আমার জমি থেকে আমাকে উৎখাত করার জন্য একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে। বিজ্ঞ আদালত মামলার প্রমাণ না পেয়ে সেগুলো খারিজ করে দেন। তারা আমার জমি থেকে সুপারী, মাছ লুট করে নিয়ে যায়। কিছু বলতে গেলে আমাকে মারধর ও ঘরবাড়ি হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে শাহে আলম ও তার লোকজন। বর্তমানে আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমি এ ব্যাপারে সাবেক শিল্প ও বানিজ্যমন্ত্রী ভোলা-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহজ্ব তোফায়েল আহাম্মেদ, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকবর হোসেন বলেন, এই জমি আমাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি। আমাদের জমিতে বাড়িঘর করে বসবাস করছি। আমির হোসেন অন্য এক লোকের কাছ থেকে ভূয়া দলিল নিয়ে আমাদেরকে বাড়ি থেকে উৎখাতের জন্য চেষ্টা করছে। মামলার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এরিয়ে যান।
-এসজে/এফএইচ