বুধবার ● ১৭ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » জেলার খবর » বোরহানউদ্দিনে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীসহ শামীম আটক
বোরহানউদ্দিনে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীসহ শামীম আটক
বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি: বোরহানউদ্দিন বোরহানগঞ্জ জ্ঞানদা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ছদ্মনাম কুলমুস বেগম কাচিয়া ইউনিয়নের কালিরহাট এলাকার ছেলে শামীম সহ কাচিয়া নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে দীর্ঘ সময় ঘোরাঘুরি দেখে সন্দেহ করে একটি আরটিআর মোটরসাইকেলসহ আটক করেন এলাকাবাসী। পরে দুপুর ১২টায় জ্ঞানদা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে খবর দিয়ে ছেলে ও মেয়ে কে তার হাতে তুলে দেন। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থানা পুলিশ কে খবর দিলে মেয়ে ও ছেলে ও একটি আরটিআর মোটর সাইকেল সহ থানায় নিয়ে আসেন। কিন্তু অদৃশ্য কারনে ওই শামীমের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় নি।
জ্ঞানদা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো: সোহেল হোসেন জানান, আমার বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রী কে মঙ্গলবার সকাল অনুমান ৬টায় নিয়ে যায় কাচিয়া ইউনিয়নের কালির হাট এলাকার লিটন হাওলাদারের ছেলে মো: শামীম মোটর সাইকেল যোগে নিয়ে যায়। পরে কাচিয়া নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে দীর্ঘ সময় ঘোরাঘুরি করলে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয়রা একটি আরটিআর মোটর সাইকেল সহ ছেলে ও মেয়েকে আটক করে আমাকে খবর দিলে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ কে অবহিত করি। দুপুর ১টায় ছেলে ও মেয়ে ও আরটিআর মোটর সাইকেল সহ বোরহানউদ্দিন থানার এস.আই মহাইমিনুল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে থানায় নিয়ে যান। ছেলে ও মেয়ে দীর্ঘ ৫/৬ ঘন্টা এক সাথে ছিল। পুলিশ কি ব্যবস্থা নিচ্ছে আমি কিছু জানি না। তবে এ ধরনের বখাটের দৃষ্টামূলক শাস্তি না হলে তারা আরোও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। তিনি আরোও বলেন, এ বখাটে ছেলেদের কারনে স্কুলে মেয়েদেরকে পাঠাতে ভয় পাচ্ছে অভিভাবকরা। এদিকে সচেতন মহল মনে করেন, ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী নাবালক হওয়ার কারনে এবং সমাজে ইজ্জ্বতের ভয়ে এবং ছেলের পরিবার বিত্তবান হওয়ায় মেয়েটির পরিবার অভিযোগ করতে চাচ্ছেন না। তবে পুলিশের হাতে কত ধারা রয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে বখাটের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় নি। এতে সচেতন মহল চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জানা গেছে, শামীম এর পরিবার প্রভাবশালী ও বিত্তবান। তবে দেখার বিষয় শামীমের বিরুদ্ধে পুলিশ কি ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ রিপোর্ট রাত ৮টায় লেখা পর্যন্ত জানা গেছে, ছেলে, মেয়ে ও আরটিআর মোটর সাইকেল টি থানায় রয়েছে।
বোরহানউদ্দিন থানার এস.আই মহাইমিনুল জানান, প্রধান শিক্ষক আমাদেরকে অবহিত করলে আমরা ছেলে মেয়েকে থানায় নিয়ে আসি। থানা থেকে মেয়ের মা মেয়ে কে নিয়ে যাবে। কেউ কোন অভিযোগ না দেয়ায় থানা থেকে শামীমও চলে যাবে। তাদের সাথে আরটিআর মোটর সাইকেল আটকের বিষয় জানতে চাইলে তিনি কৌশলে বলেন, আমার সাথে অনেক ফোর্স গেছে কেউ আনলে আনতেও পারে।
এব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইন-চার্জ ম. এনামুল হক এর বক্তব্য নিতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
-এএম/এফএইচ