রবিবার ● ১৪ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » ভোলায় মাদকাসক্ত স্বামীকে তালাক দেওয়ায় তিন জনকে পিটিয়ে আহত
ভোলায় মাদকাসক্ত স্বামীকে তালাক দেওয়ায় তিন জনকে পিটিয়ে আহত
স্টাফ রিপোর্টার: ভোলায় যৌতুক লোভী ও মাদকাসক্ত স্বামীকে তালাক দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তালাক প্রদানকারী স্ত্রীসহ তিন জনকে পিটিয়ে আহত করেছেন তালক প্রাপ্ত স্বামী ও তার স্বজনরা। শনিবার সন্ধ্যায় ভোলা টু চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহা সড়কের বাংলাবাজের দক্ষিণ পার্শ্বে জয়নগর পলিটেকনিকেল কলেজের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, পারভিন আক্তার (৩১), বোন ঝুমুর (২৫), ছেলে ফারদিন মাহি (১৮)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ১ নং ওয়ার্ডের সৈদয় নজরুল ইসলামের মেয়ে পারভিন আক্তারের সাথে সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মৃত কাশেম আলীর ছেলে ও মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসের চর্তুথ শ্রেণীর কর্মচারী আঃ হক কালুর সাথে ২১.৯.১৮ ইং তারিখে পারভিনের দ্বিতীয় বিয়ে হয়।
আহত পারভিন আক্তার অভিযোগ করেন, আঃ হক একজন মাদকাসক্ত। সে আমাকে বিভিন্ন সময় মারধর করতো এবং আমার কাছে যৌতুক দাবি করতো।
সে আমার আগের স্বামীর ঘরের সন্তান শফিকুর রহমান শাহিনকে ভোলা ডিসি অফিসের পরিচ্ছকর্মী পদে চাকরি ও ২য় ছেলে ফারদিন মাহিকে পরিকল্পনা মন্ত্রাণালয় চাকরী দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে কয়েক ধাপে ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। চাকরীর নিয়োগের কথা বল্লে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকেন এবং আরো ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। আঃ হককে টাকা ও চাকরীর বিষয়ে কিছু বল্লে সে তাকে এলোপাথীড়িভাবে মারধর করতো। আমি তার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায় গত ৯.৭.১৯ইং তারিখে ঢাকার বিজয় নগর একটি কাজী অফিসে তাকে তালাক প্রদান করি। তালাক প্রদানের খবর পেয়ে আঃ হক ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে নিয়ে কু-রুচিপুণ্য অপপ্রচার চালায় এবং বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় আমি ও আমার ছোট বোন ও ছেলে সহ উপশহর বাংলাবাজার থেকে রিকশা যোগে বাড়িতে যাওয়ার পথে পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা আব্দুল হক, ছেলে মনির হোসেনসহ আরো অজ্ঞাত ৩ জন আমাদের পথ গতিরোধ করে আমাদের উপর এলোপাথাড়ি ভাবে লাঠি ও দেশী অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এসয়ম আমাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণলংকার ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করেন। পরে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
এব্যপারে অভিযুক্ত আঃ হক কালুর সাথে তার ব্যবহীত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয় সম্ভব হয়নি।
-এফএইচ