গ্রেফতার আতঙ্কে ভোলার বিএনপির নেতারা, আটক- ১২

স্টাফ রিপোর্টার: গ্রেফতার আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে ভোলার সাত উপজেলার বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের অধিকাংশ নেতাকর্মী। ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে পুলিশের অভিযানে উপজেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশী অভিযানে গত সোমবার থেকে বুধবার বিকাল পর্যন্ত বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে ৫ বিএনপির নেতাকর্মীকে আহত করার অভিযোগ করেছে জেলা ও চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপি। এদিকে পুলিশ বলছেন বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টের ভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করছেন। আন্দোলনের নামে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

এ দিকে বিএনপির মিটিং মিছিল ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আ’লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।  জেলা ও উপজেলা ও পৌর শহরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের টহল ও নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা তল্লাশি (চেকপোস্ট) বসানো হয়েছে। এছাড়াও বাস স্টেশনগুলোতে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মোতাহার হোসেন আলমগীর মালতিয়া জানান, গত কয়েকদিনে চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাজারিগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফিরোজ সৈয়াল, পৌর শ্রমিকদলের সহ সাধারণ সম্পাদক জসিম সাজি সহ ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এছাড়া আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে বিএনপির ৫ নেতাকর্মীকে আহত করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক আরজু বলেন, লালমোহন উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি অবি আব্দুল্যা খোকন, লালমোহন সদর ইউনিয়ন সেচ্চাসেবক দলের সভাপতি নুরে আলম বাবলু, বোরহানউদ্দিন বিএনপির সহ সভাপতি ফিরোজ কাজী, হাসান হাওলাদার, দৌলতখানের  পৌর বিএনপির সভাপতি ছিদ্দিক কমিশনার, জাকির  হোসেন কমিশান ও ভোলা সদরের ছাত্রদল নেতা আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মধ্যেও পুলিশ  বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশীর নামে নেতাকর্মীদের হয়রানী ও গ্রেফতার করছে। তিনি আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় আহত ও পুলিশী অভিযানের নামে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

-কেএম/এফএইচ