ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৩ ব্যাচের রজতজয়ন্তী উদযাপন

স্টাফ রিপোর্টা: ভোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৩ সালে এসএসসি পাশ করা ছাত্রদেরর রজত জয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে। ২৫ বছর পর রোববার বিকাল ৪ টায় ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকল ছাত্ররা একত্রিত হয়। এ উপলক্ষ্যে ‘বন্ধু সকল-৯৩ রজতজয়ন্তী’ শিরোনামে আয়োজন করা হয়েছে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বন্ধুদের সঙ্গে ছিল স্ত্রী, সন্তান, পরিবার-পরিজন আর শ্রদ্ধেয় শিক্ষক।
বিকাল চারটায় ক্যাম্পাস থেকে বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়ে ভোলা শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে অনুভুতি বিনিময় চলে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত। সবশেষে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গান করেন কবি হাসান মাহমুদ, ববি ঘোষ, নাজমুল আহসান জামাল, তালহা তালুকদার বাঁধন। নাচ, গান, খাওয়া-দাওয়া এবং বন্ধুরা শপথ করেন, ওঁরা ভোলার জন্য, বিদ্যালয়ের জন্য, বন্ধুর সমস্যা সমাধানে কিছু না কিছু করবেন।
৯৩ ব্যাচের ছাত্র আনম রিয়াজ উদ্দিন বলেন, বন্ধু পাওয়া যায় সেই স্কুলবেলা থেকে। আর সেই প্রাণের বন্ধু। তারপর জীবনে আর বন্ধু আসে না। যাঁরা আসে তারা সাময়িক।
দেখা যায়, ২৫ বছর পর সেই বন্ধুর সঙ্গে দেখা হওয়ার পরে কবীর সুমনের কন্ঠে একজন অন্যজনকে জড়িয়ে বলে,’বন্ধু! কি খবর বল! কতো দিন হয়নি দেখা’
ব্যাংকার শামছুল আলম চৌধুরী বলেন, ১৯৯৩ সালে ৯০ জন বন্ধু ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেছে।  তার মধ্যে অনেকে মারা গেছে। সবাইকে পাওয়া সম্ভব হয়নি।
বিদ্যালয়ের ৯৩ ব্যাচের ছাত্র ঢাকা বিদ্যুত বিতরণ কোম্পানীর (ডিপিডিসি) নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৯৩ সালে পাশ করা সব বন্ধু সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিল। গত কয়েক মাস ধরে ঠিকানা, মুঠোফোন নম্বর জোগাড় করে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আর যেনো হারিয়ে না যায় আমরা সে ব্যবস্থাই করবো’!
আলোচনা ও অনুভুতি বিনিময় সভায় সাবেক প্রধান শিক্ষক একেএম ছাদেকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রাণ গোপাল দে, সাবেক শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন, কালিমুল্যাহ, নুরুল হক, ওমর আলী, সফিকুল ইসলাম, মো. শাহজাহান, আহসান কবির, বিদ্যালয়ের ৯৩ ব্যাচের ছাত্র এবি ব্যাংকের কর্মকর্তা সামছুল আলম চৌধুরী, মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্সের ভোলা শাখার ব্যবস্থাপক মো. আরিফুর রহমান, ব্যবসায়ী হাসান মোর্শেদ প্রমূখ।

-ইএ/এফএইচ