শনিবার ● ১৯ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলায় আ’লীগের কর্মীবান্ধব অনুদান থেকে ও চাঁদাবাজীর অভিযোগ!
ভোলায় আ’লীগের কর্মীবান্ধব অনুদান থেকে ও চাঁদাবাজীর অভিযোগ!
এইচ এম নাহিদ: আগামী নির্বাচনকে সামনে ভোলা জেলা আওয়ামীলীগ কর্মীবান্ধব নানান কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। তারই অংশ বিশেষ গত ১৬ই আগস্ট সদর উপজেলায় কর্মীদেরকে চাঙ্গা রাখার কৌশল হিসেবে ইউনিয়ন ভিত্তিক আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। এই অনুদানকে কেন্দ্র করে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন সভাপতি/সম্পাদক ও তাদের স্বজনদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী নেতা কর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিন ঘুরে জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ ৬৫০ ত্যাগী নেতা কর্মীদের মাঝে ১০ হাজার টাকা করে প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকার কর্মীবান্ধব অনুদান বিতরণ করেন ভোলা জেলা আওয়ামীলীগ। এর মধ্যে পশ্চিম ইলিশা, রাজাপুর, বাপ্তা, ধনিয়া, আলীনগর, ভেলুমিয়া, ভেদুরিয়া ইউনিয়নে এই অনুদানের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। বিতরণে ত্যাগীদের স্লোগান থাকলেও প্রকৃত ত্যাগীদের মাঝে বিতরণ না করে স্বজন প্রিতী, অরাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ ও আর্থিক চুক্তির মাধ্যমে ইউনিয়ন নেতৃবৃন্ধ এই অনুদানের টাকা বিতরণ করেন বলে যানাযায়।
তালিকা অনুযায়ী প্রতিজন ১০ হাজার করে পেলেও বাস্তবিক ভুক্তভোগীগণ ১ থেকে ৭ হাজার টাকাও চাঁদা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। পশ্চিম ইলিশার ভুক্তভোগী ২ নং ওয়ার্ডের আলমগীর জানান আমি ৪০ বছর পর্যন্ত আওয়ামীলীগ করি, জীবনে কোনদিন কিছু পাইনি, এই বার ইউনিয়ন সভাপতি এই অনুদানের জন্য আমার নামটি দিয়ে আমাকে ১০ হাজার টাকা পাইয়ে দিয়ে দলীয় খরচের কথা বলে ৫ হাজার টাকা আমার কাছ থেকে নিয়ে গেছে তার ভাই। এই রকম ভাবেই ৭ নং ওয়ার্ডের রফিকের কাছ থেকে ৭ হাজার , আলাউদ্দিন সিকদারের কাছ থেকে দের হাজার, আলীনগরের মিজানের কাছ থেকে ৫ হাজার, সাহাবুদ্দিনের কাছ থেকে ৩ হাজার, ধনিয়ার মহিউদ্দিনের কাছ থেকে ৪ হাজার, আনোয়ারের কাছ থেকে ৩ হাজার, ভেলুমিয়ার বারেক গাজীর কাছ থেকে ৩ হাজার, নুরুদ্দিনের কাছ থেকে ৫ হাজার, ভেদুরিয়ার আমিরের কাছ থেকে ২ হাজার, হোসেনের কাছ থেকে ৩ হাজার, বাপ্তার আলাউদ্দিনের কাছ থেকে ৩ হাজার, রুবেলের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়ে যায় ইউনিয়ন নেতারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এমন অনেকের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছেন বলে তারা দাবী করেন। তারা বলেন দয়াকরে আমাদের নাম প্রকাশ করিয়েন না, তানা হলে আমরা ইউনিয়নে বসবাস করতে পারবোনা। কারণ নাম দেয়ার সময় আমাদের অনেক সর্তক করে ছিল যাহাতে এই টাকার কথা কাক পক্ষিও টের না পায়।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অনেক নেতা কর্মী দাবী করেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক নামে-বেনামে অনেক নাম দিয়ে তারা নিজেরাই টাকা আত্বসাৎ করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত একধিক ইউনিয়ন সভাপতি/সম্পাদকের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন, এমন কোন প্রমাণ যদি কেউ আমাদের দিতে পারে তাহলে দলীয় ফোরামে অভিযুক্ত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেনের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, কোন ইউনিয়নে এই ধরনের অভিযোগ পেলে এবং তা প্রমাণিত হলে, সে যেই হোক না কেন তাকে আমরা দল থেকে বহিস্কার করব। আওয়ামীরীগে কোন অসৎ দুর্নীতিবাজের যায়গা হবেনা বলে তিনি হুশিয়ার করেন।
-এফএইচ