শুক্রবার ● ১৮ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » মনপুরার মেঘনা ফের জেলে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবী
মনপুরার মেঘনা ফের জেলে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবী
মো. ছালাউদ্দিন, মনপুরা প্রতিনিধি: ভোলার মনপুরার মেঘনায় ইলিশ ধরা অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় হাতিয়ার জলদস্যু বাহিনী জাগলাচর সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে ১ জেলে মাঝিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অপহৃত মাঝিকে ছাড়িয়ে আনতে জলদস্যু বাহিনী ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন। বিষয়টি ট্রলার মালিক ও পরিবার সুত্রে নিশ্চিত করেছেন। জেলেকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ প্রশাসন মেঘনায় অভিযান পরিচালনা করছেন বলে নিশ্চিত করেন পুলিশ।
কোরবানের ঈদেকে সামনে রেখে জলদস্যুরা আবারও ফের মেঘনায় তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। জলদস্যুরা জেলেদের মারধর করে হামলা চালায়। জলদস্যুরা জেলেদের অপহৃত করায় জেলেদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। মেঘনায় ইলিশ মাছ ধরতে জেলেরা সাহস পাচ্ছেনা । জলদস্যুদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত ১০ টা এখনও অপহৃত মাঝিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
খোঁজ নিয়ে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলেদের সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনকার ন্যায় ফারুক মাঝি জাগলাচর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে। জাল টানা অবস্থায় জলদস্যুরা আগ থেকে ওঁৎ পেতে থাকা হাতিয়ার জলদস্যু বাহিনীর ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অ¯্র তাক করে জেলেদের চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলেন। পরে জলদস্যুরা অ¯্র তাক করে ট্রলারে উঠে জেলেদের জিম্মি করে ফারুক মাঝির ট্রলার থেকে নিকসন মাঝিকে অপহৃত করে নিয়ে যায়। অপহরণ নিকসন মাঝি ফারুক মাঝির ছেলে। জলদস্যুরা নিকসন মাঝির মোবাইল ফোনে রিং দিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করেন। মুক্তিপনের বিনিময়ে জেলেদের ছাড়িয়ে আনার জন্য বলেন জলদস্যু বাহিনী। অপহ্রত মাঝি উপজেলা চেয়ারম্যান আড়তের বলে জানাযায়।
এব্যাপারে মনপুরা থানা অফিসার ইনচার্জ দায়িত্বে থাকা তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন মিয়া বলেন, ঘটনা শুনার সাথে সাথে জেলেকে উদ্ধারের জন্য মেঘনায় অভিজান চালানো হয়েছে। এস আই মোঃ জসিমউদ্দিনের নের্তৃত্বে মেঘনায় অভিযান পরিচালনা করছি। এখনও অপহৃত জেলেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আমাদের অভিযান উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অব্যহত থাকবে।
-এফএইচ