শনিবার ● ১২ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলার জামিরালতা-ব্যাপারী বাড়ীর সড়কটির একি দশা!
ভোলার জামিরালতা-ব্যাপারী বাড়ীর সড়কটির একি দশা!
মো. ফজলে আলম: ভোলার জামিরালতা গ্রামের ব্যাপারী বাড়ীর সড়কটি চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে স্কুল-কলেজর ছাত্র-ছাত্রী সহ শত শত লোকজন চলাচল করছে। দুর্ভোগের শেষ নেই তাদের। বর্তমান সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন মূল্যক কাজ বাস্তবায়িত হলেও অবহেলিত রয়ে গেছে সদর উপজেলার কাঁচা সড়কটি। এই এলাকাটি আওয়ামীলীগের ভোটের দূর্গ হওয়ায় ২০০১ সালে ৪ দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এলেও তারা রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে এ রাস্তাটির উন্নায়ন বিষয় কোন পদক্ষেপ নেয়নি। কিন্তু বর্তমান মহাজোট সরকারের পর পর তিন ট্রাম ক্ষমতায় থেকেও তাদের জন প্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতি জামিরালতা ব্যাপারী বাড়ীর রাস্তাটি পাকাকরণের কোন উদ্যোগ এখনও গ্রহণ করেননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি সরকারের নির্বাচনের সময় ভোট প্রার্থনা করতে এসে জনগুরুত্বপূর্ণ, ওই রাস্তাটি পাকা করনের আশ্বাস দেয়া হলেও দল ক্ষমতায় আসার পরে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের কোন নেতা, চেয়ারম্যান-মেম্বার ও জন প্রতিনিধিদের নজরে পড়ছে না।
এলাকাবাসী ক্ষোভের সাথে জানান, যে কোন নির্বাচন এলে দেখা যায় জনপ্রতিনিধিদের দৌড়-ঝাপ ও বিভিন্ন উন্নয়নের করে দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। তাই অবিলম্বে এই রাস্তাটি পাঁকা না হলে আর কোন জন প্রতিনিধিদের ভোট দিবে না এলাকাবাসী। দ্রুত এই সড়কটি জনপ্রতিনিধিদের পাঁকা করণের জন্য একান্ত দরকার।
এলাকার স্থানীয় দোকারদার জামাল, রফিক জানান, সড়কের বিভিন্ন স্থান ধসে ও রাস্তার মাঝে গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন ও এলাকাবাসীর চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কিছু দিন আগে জেলা পরিষদ থেকে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ হাতের মতো একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইট বিছিয়ে দিয়ে কাজ শেষ করে। যা রাস্তার ৫ ভাগের এক ভাগও করেনি। তাই অবিলম্বে এ রাস্তাটি পাকা করনের জন্য সকলের প্রতি আহবান তারা।
অন্যদিকে কর্মসৃজনের নামে রাস্তা-ঘাট উন্নয়নের জন্য সরকারী সহায়তায় ভোলা সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় কর্মসৃজন চালু থাকলেও গত কয়েক বছরে কর্মসৃজনের কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় জামিরালতা গ্রামের কাঁচা রাস্তাটিও কাহারো চোখে পড়েনি।
তারা আরো বলেন, ভোলা বাপ্তা ইউনিয়নের চরনোয়াবাদ এলাকার প্রেম রোড হিসেবে খ্যাত ওই রোডটি বাপ্তা ইউনিয়নের ৩ কিলোমিটার রাস্তা হলেও ভোলা পৌর সভা সেটিকে পাকা করে দেয়। কারণ সেখানে ভোলার নামী-দামী নেতারা বসবাস করছেন। অথচ জামিরালতা রাস্তাটি কোয়াটার কিলোমিটার হলেও তা নিয়ে পৌরসভা, জেলা পরিষদ, এলজিইডিসহ কোন বিভাগ-ই মাথা গামাচ্ছে না।
রাস্তাটি নিয়ে এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষের অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তারা বলছেন, বাপ্তা ইউনিয়ন বলছে পৌর সভার রাস্তা; আর পৌরসভা বলছে এগুলো বাপ্তা ইউনিয়ন, জেলা পরিষদ ও এলজিইডির আওতায়। এ রাস্তাটি নিয়ে বিভিন্ন বিভাগের রেশা-রেশীর কারণে স্বাধীনতার পর থেকে আলোর মুখ দেখেনি।
অভিযোগে আরো বলেন, বিভিন্ন সংস্থা লোক মাঝে মধ্যে এসে রাস্তাটিকে মাপ ঝোপ করতে দেখা যায়। এদিকে ওই এলাকার স্থানীয় ব্যক্তি জসিম পাটওয়ারী, জাকির পাটওয়ারী, আরিফুল ইসলাম, ইউসুভ, কবির, হোসেনসহ আরো অনেকে জানান, বর্ষা মৌসূম এলেই রাস্তাটিতে সামান্য বৃষ্টিতে পায়ে হাটা জায়না। কাঁদা ঢেঙে সদরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। চাকুরীজীবি, স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। কয়েকদিনের টানা বর্ষণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি ও কাঁদায় একাকার হয়ে এখন ধান চাষের উপযোগী হয়েছে এবং আশ-পাশে বর্ষার পানি নিস্কাসরে জন্য নেই কোন ড্রেন। তাই বর্ষা মৌসূমে এক রকম পানিবন্দি জীবন কাটাতে হয় গ্রামবাসীদের।
তারা আরো বলেন, বর্ষা মৌসূম তাদের গ্রামের কেউ অসুস্থ্য হয়ে পরলেও তাকে সদর হাসপাতালে নিতে গ্রামের লোকজনকে চরম ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। ভোলা সদর থেকে ১/২ কিলোমিটার দুরত্ব হলেও রাস্তাঘাট, কালভাট, পানি নিস্কাশনের ড্রেনসহ বিভিন্ন ধরনে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি।
-এফএইচ