সোমবার ● ৭ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » কলেজ ছাত্রীকে কাক বলায় স্কুল ছাত্রকে বেত্রাঘাত
কলেজ ছাত্রীকে কাক বলায় স্কুল ছাত্রকে বেত্রাঘাত
স্টাফ রিপোর্টার: ভোলার দৌলতখান উপজেলার সরকারি বালক বিদ্যালয়ের ছাত্ররা এক কলেজ ছাত্রীকে কাক কাক বলে উত্যক্ত করায় এক ছাত্রকে প্রধান শিক্ষক বেত্রাঘাত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রের বাবা-মায়ের অভিযোগ ক্লাশের সকল ছাত্র উত্যক্ত করলেও শুধু তাদের অসুস্থ্য ছেলেকে পিটিয়েছে শিক্ষক।
তবে স্থানীয় একাধিক অভিবাবকরা বলেন, প্রধান শিক্ষককে স্কুল ছাড়া করার জন্য একটি পক্ষ তুচ্ছ ঘটনাকে বড় আকরে রূপ দিয়েছে। দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি মো. কামাল হোসেন বলেন, ঘটনাটি শুনে তিনি সকল শিক্ষকে সতর্ক করেছেন। এবং আইন মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক কলেজ ছাত্রী দৌলতখান সরকারি বালক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রের বিরুদ্ধে কাক কাক বলে উত্যক্ত করার অভিযোগ করার জন্য রোববার দুপুরে বিদ্যালয়ে আসে। ওই সময় দশম শ্রেণীর ছাত্র অনুপস্থিত ছিলো। কলেজ ছাত্রী বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে নবম শ্রেণীর ছাত্ররা সমস্বরে কাক কাক বলে চিৎকার করে। এসময় প্রধান শিক্ষক দিপক হালদার অভিযোগ পেয়ে ছাত্রদের জিজ্ঞেস করে কে উত্যক্ত করেছে। কিন্তু ছাত্ররা কেউ স্বীকার করেনি। এক পর্যায়ে ওই ক্লাশের ছাত্র বাঁধন কৃষ্ণ নয়ন সকলের সাথে আস্তে আস্তে কাক বলার কথা স্বীকার করে। তখন প্রধান শিক্ষক নয়নকে সকলের নাম বলতে বলে। কিন্তু নয়ন বাকী সহপাঠীদের নাম না বলায় তাকে বেত্রাঘাত করে।
নয়নের বাবা বিরেণ মজুমদার ও মা দুলালী রাণী জানান, সকল ছাত্র কাক বলে চিৎকার করলেও শুধু তার অসুস্থ্য ছেলেকে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। এবং প্রধান শিক্ষক তাদের ছেলেকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করবে বলে হুমকি দেয়। এতে ছেলে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তারা ছেলেকে দৌলতখান হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
দৌলতখান সরকারি বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিপক হালাদার বলেন, ছাত্রদের মধ্যে শিষ্টাচার ও শৃঙ্খলাবোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি বেত্রাঘাত করেছেন। তবে শাস্তি বা নির্যাতনের উদ্দেশ্যে নয়।
এদিকে একাধিক অভিবাবক জানান, প্রায় শিক্ষক শূণ্য বিদ্যালয়টিতে অনেক দিন পরে একজন ভালো প্রধান শিক্ষক এসেছে। তাকে সড়ানোর লক্ষ্যে একটি পক্ষ গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
-ইএ/এফএইচ