রবিবার ● ৬ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » চার বছরের সন্তানকে জিম্মি করে মায়ের কাছে বাবার মুক্তিপণ দাবী !!
চার বছরের সন্তানকে জিম্মি করে মায়ের কাছে বাবার মুক্তিপণ দাবী !!
বিশেষ প্রতিনিধি: পুণ্য নামের ৪ বছরের নিজের শিশু সন্তানকে জিম্মি করে মাগুরা নিয়ে আটকে রেখে মায়ের কাছে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন স্বপন নামের এক পাষণ্ড পিতা। তার গ্রামের বাড়ী মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়াডের্র মৃত সৈয়দ ইউনুছের বড় ছেলে সোহেব স্বপন (৬৫)। এঘটনায় মাগুরা জজ কোর্টে চার্চ ওয়ারেন্টের আবেদন করেন শিশুটির মা ভোলার দৌলতখানের সেলিনা আক্তার।
শিশুটির মা সেলিনা আক্তার অভিযোগ করেন, প্রায় ৬ বছর পূর্বে সেলিনা আক্তারের সাথে ঢাকায় স্বপনের পরিচয় হয়। এর কিছু দিন পরে স্বপন বলেন সন্তান রেখে আমার স্ত্রী মারা গিয়াছে আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই। এক পর্যায়ে দুজনের সম্মতিতে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক ঢাকার একটি কাজী অফিসে কাবিনের মাধ্যমে দুজনের বিবাহ হয়। বিবাহের পর স্বপন তাকে একটি ভাড়া বাসায় তুলতে গেলে স্ত্রী বাসায় উঠতে অস্বীকৃতি জানান। কিছু দিন পর জানতে পারেন তার স্বামীর আরো ৫ জন স্ত্রী রয়েছে এবং সে নারী ও শিশু পাচারকরী সক্রিয় সদস্য। রাজধানীর আদাবর স্বপনের বাবার দুইটি বাড়ী রয়েছে। ঐ বাড়ীকে পুজিঁ করেই স্বপন বহু মেয়েকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নিজের নাম পরিবর্তন করে অসংখ্য বিয়ে করে টাকা হাতিয়ে নেন। স্বপনের নানা বাড়ী ভারতের কলিকাতা শহরে হওয়ায় সে সহজেই ভারতের নারী ও শিশু পাচারকরীদের সাথে যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। সারাদিন বিদেশী মদ খেয়ে নেশা করে মাতাল অবস্তায় স্ত্রীকে মারধর করতেন। বিয়ের দুই বছর পর সেলিনা আক্তারের একটি ছেলে সন্তান হয়। কিছুদিন পরে স্ত্রী সন্তানের ভরণ পোষণ ও কোন প্রকার খোঁজ নেয়নি স্বামী স্বপন।
গত ১২ জুলাই সমজতার কথা বলে সেলিনা ও তার সস্তানকে মাগুরা জেলা শহরে নিয়ে যায় তার স্বপন। পরে কৌশলে শিশু সস্তান পুণ্যকে তার মায়ের কাছ থেকে নিয়ে পালিয়ে যায় শিশুটির বাবা। শিশুটিকে ফেরত দিতে স্ত্রীর কাছে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন এবং টাকা দিতে না পারলে তাকে ভারত বিক্রি করে দিবেন বলে হুমকি দেয় স্বপন। সস্তানকে ফিরে পাওয়ার আসায় দ্বারে দ্বারে গুরে কোন প্রতিকার না পেয়ে বাচ্চা উদ্ধারের জন্য (৩১ জুলাই) সোমবার স্বপনের বিরুদ্ধে মাগুরা জজ কোর্টে চার্চ ওয়ারেন্টের আবেদন করেন শিশুর মা সেলিনা আক্তার । এব্যাপারে অভিযুক্ত স্বপণের ব্যবহৃীত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
-এআরটি/এফএইচ