বৃহস্পতিবার ● ২০ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » প্রধান শিক্ষকের পদ পেতে সহকারী প্রধান শিক্ষককের নাটক
প্রধান শিক্ষকের পদ পেতে সহকারী প্রধান শিক্ষককের নাটক
স্টাফ রিপোর্টার: প্রধান শিক্ষকের পদ ছিনিয়ে নিতে ছাত্রকে বলাৎকারের নাটক সাজিয়েছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতেই ওই সহকারী প্রধান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হতে চাচ্ছেন। বৃহষ্পতিবার ১২টায় ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর আজাহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী নাজমা বেগম লিখিতভাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন।
তবে আসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক, চরফ্যাশন উপজেলা যুবলীগের নির্বাহী সদস্য, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, তিনি প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য কোনো রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হননি। আর যদি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতেন, তাহলে আরও আগেই লিপ্ত হতে পারতেন। আর ছাত্র বলাৎকারের ঘটনা তিনি কিছুই জানেন না। তাকে ষড়যন্ত্রমূলক জড়ানো হচ্ছে।
লিখিত অভিযোগে নাজমা বেগম বলেন, চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর আজাহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুসফিকিউর রহমান ১৯৮৫ সাল থেকে সুনামের সাথে চরফ্যাশন উপজেলার চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি বিষয়ের দক্ষ শিক্ষক হিসেবে চাকরি করে আসছেন। শিক্ষকতায় তার কোনো বদনাম নেই। ২০০৫ সালে আসলামপুর আজাহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করার পর থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন চক্রান্ত করে আসছেন। বিভিন্ন প্রকার ষড়যন্ত্রে ফেলে হয়রানী করে আসছেন। প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য সহকারী প্রধান শিক্ষক এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, সর্বশেষ সহকারী প্রধান শিক্ষকের সনদে একাধিক তৃতীয় বিভাগ থাকায় প্রধান শিক্ষক হওয়ায় বাঁধা রয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক হতে চাচ্ছেন। কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে তিনি কখনই প্রধান শিক্ষক হতে পারবেন না। তাই প্রধান শিক্ষক মুসফিকিউর রহমানের অবসরে যাওয়ার এক বছর আগেই চক্রান্ত শুরু করেছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারে অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন। প্রধান শিক্ষককে বলছেন, পদ ছেড়ে দিলে মামলা তুলে নেবেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি চরফ্যাশন পৌরসভার মেয়র বাদলকৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, তিনি বলাৎকারের শিকার শিশুটির সাথে কথা বলেছেন, এতে মনে হয়েছে শিশুটি আসলেই নির্যাতিত। কিন্তু কে এই ঘটনার নায়ক তা বলা যাচ্ছে না। ঘটনা তদন্ত ও বিচার করার জন্য প্রধান শিক্ষককে দুই বার সালিশে ডেকেছিলাম, কিন্তু প্রধান শিক্ষক উপস্থিত হননি। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বললে কে প্রকৃত দোষী তা বের হয়ে আসবে।
-এমএমএইচ/এফএইচ