মঙ্গলবার ● ৩০ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » মেঘনার গ্রাস থেকে দৌলতখান রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছাত্রলীগ নেতার চিঠি
মেঘনার গ্রাস থেকে দৌলতখান রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছাত্রলীগ নেতার চিঠি
বিশেষ প্রতিনিধি • দ্বীপজেলা ভোলার দৌলতখানের গরিবদুঃখী মেহনতি গণমানুষের পক্ষ থেকে তিলোত্তমা মেঘনার নদীভাঙন প্রতিরোধে গত ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে একনেকে বরাদ্দকৃত ৫৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রকল্পের কাজ শুরুর জরুরী নির্বাহী আদেশের প্রত্যাশায় জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি চিঠি প্রেরণ করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি ভোলার দৌলতখানের কৃতি সন্তান হামজা রহমান অন্তর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাঁর একজন উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব (যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার) চিঠিটি গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, দৌলতখানের নদীভাঙন রোধে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত টাকার কাজ যদি এই বছরের জুন মাসের মধ্যে (নতুন অর্থবছর শুরুর আগে) শুরু না করা হয়, তবে সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী এই বিপুল অংকের টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ে ফেরত যাবে। তখন নিরুপায় হয়ে দৌলতখান উপজেলা (সাবেক মহকুমা সদর, ভোলা) নামক এই ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধ জনপদটি নদীগর্ভে বিলীয়মান ধ্বংস যজ্ঞ চেয়ে চেয়ে দেখতে হবে। নদী থেকে ৩-৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বোরহানউদ্দিনের কাজ শুরু হলেও কৃত্রিম আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সাজিয়ে দৌলতখান রক্ষায় সিসি-ব্লকের কাজ শুরু হছেনা। দৌলতখান মূল উপশহরে ঘাড়ের উপর নিশ্বাস ফেলছে ভয়াল মেঘনা। ভয়ংকরী নদীর মাত্র ১০০ মিটার দূরে রয়েছে থানা। আর উপজেলা কমপ্লেক্স থেকে নদী রয়েছে মাত্র ২০০ মিটার দূরত্বে। ইতোমধ্যে ১নং ওয়ার্ড দৌলতখান পৌরসভায় (মূল উপশহর) ভাঙন শুরু হয়ে গিয়েছে, শেষ সহায়সম্বল ভিটেমাটি হারাতে বসেছে লক্ষাধিক জনসংখ্যার এই জনপদের মানুষ। এই দৌলতখান থেকেই ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে মহান জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২ সালে উদ্বোধিত বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত বামনপুর গ্রামের ‘জিরোপয়েন্ট‘ বেড়িবাঁধটিও বহু আগে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উদাসীনতায়। এই দৌলতখানের মাটিতে জন্মেছিলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর সেনানী শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি মোস্তফা কামাল। প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধের (দৌলতখান হাসপাতাল অভিযানে) শহীদ আব্দুর রশিদ চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন এই পবিত্র মাটিতে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নিবেদিত এই নেতার শপথ প্রিয় মাতৃভূমি দৌলতখানকে রক্ষায় তাই শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার।
-আরআই/বিএস