মঙ্গলবার ● ১৬ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলায় ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মালিকানা জমি লিজ দেওয়ার অভিযোগ
ভোলায় ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মালিকানা জমি লিজ দেওয়ার অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলা পৌরসভার কাঁচা বাজার এলাকায় প্রায় অর্ধ্বকোটি টাকার মালিকানা জমি (ব্যবসা প্রতিষ্ঠান) ‘ক’ তালিকাভুক্ত দেখিয়ে ভূমি অফিস ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন কপি) কেটে মুজাম্মেল হক নামক ব্যক্তিকে লিজ দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী ও জমির মালিক মো. নুরুল ইসলাম মঙ্গলবার এ অভিযোগ করেন। তিনি জমির মালিকানা ফেরৎ পেতে ভূমি অফিসে আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন।
তবে ভোলা সদর উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনার (অ্যসিল্যান্ড) মো. রুহুল আমিন বলেন, বিবাদমান জমিটি ‘ক’ তফসিলভূক্ত অর্পিত সম্পত্তি। ওই জমি ডিসিআর কাটা ছাড়া কেউ ভোগদখল করতে পারবে না। মো. নুরুল ইসলাম দাবি করেন জমিটি তাঁর। সে মর্মে তিনি খাজনা পরিশোধের আবেদন করেছেন। জমিটি নুরুল ইসলামের কিনা তার জন্য সর্ভেয়ার মঙ্গলবার মাপজোখ শুরু করেছে। তাছাড়া উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যলোচনা করলে বোঝা যাবে জমিটি প্রকৃত কার। সে মতেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জমির মালিক মো.নুরুল ইসলামের অভিযোগ ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মো: নুরুল ইসলাম ২০০৪ সালে চরজংলা মৌজার (দাগ নম্বর ৩১৬-১৭, খতিয়ান নম্বর ৮৬৭) দশমিক ৯৩ শতাংশ জমি (ভোলা পৌরসভার কাঁচা বাজার) মোসাম্মৎ কহিনুর বেগমের নিকট থেকে প্রায় ৬ লাখ টাকায় ক্রয় করেন। যার বর্তমান মূল্য প্রায় ৬০ লাখ টাকা।
অভিযোগে আরও জানান, ওই জমিতে তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার একটির ভাড়াটিয়া ছিলেন মো: মুজাম্মেল হক। যার ভাড়াটিয়া চুক্তিও রয়েছে, তিনি গত চার বছর ভাড়া পরিশোধ করার পরে ভাড়া প্রদান বন্ধ করে দেন। ভাড়া চাইলে মুজাম্মেল হক জমির মালিকানা দাবি করেন। এ ঘটনায় একাধিক শালিশ নুরুল ইসলামের পক্ষে রায় দিলেও মুজাম্মেল হক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দখল ছাড়েননি।
মুজাম্মেল হক বলেন, মো: নুরুল ইসলাম যে জমিটি দাবি করছেন সেটি তিনি ২০০৪ সালেই ভূমি অফিস থেকে ডিসিআর কেটে লিজ নিয়েছেন। সেই থেকে তিনি জমিটি ভোগদখল করে আসছে। তিনি আরও বলেন, কখনই নুরুল ইসলামরে কাছ থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি ভাড়া নেননি।
-এইচইউ/এফএইচ