সোমবার ● ২৭ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলা নার্সিং এর ইনস্ট্রাক্টরের অপসারণ চেয়ে ছাত্রীদের স্মারকলিপি পেশ
ভোলা নার্সিং এর ইনস্ট্রাক্টরের অপসারণ চেয়ে ছাত্রীদের স্মারকলিপি পেশ
স্টাফ রিপোর্টার: ভোলা নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর নন্দা রাণী দাসের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সাথে অনৈতিক আচরণের প্রতিবাদে স্মারকলিপি প্রদান করেছে সেখানকার প্রশিক্ষণরত ছাত্রীরা। সোমবার দুপুর ১২টায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. রথিন্দ্রনাথ মজুমদারের নিকট তারা এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় তারা নন্দা রাণী দাসকে দ্রুত অপসারণের দাবি জানান। নার্সিং ইনস্টিটিউটের ২য় বর্ষ ও প্রথম বর্ষে অধ্যায়নরত প্রায় শতাধীক শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে ইনস্টিটিউটের শিক্ষক বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের কথা বলেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, গত ২৪-০৩-২০১৭ইং তারিখে ৩য় বর্ষের ক্লাশ টিচার নন্দা রাণী দাস ৩য় বর্ষের সকল ছাত্রীদের দিয়ে সকাল-বিকাল ডিউটি করানোর পরও তাদেরকে নাইট ডিউটি করতে বলে। যা তাদের ডিউটি রোস্টারে ছিলো না। এতে তারা রাজি না হওয়া নন্দা রাণী তাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সময়ে কারনে-অকারনে তাদের সাথে এরক দুঃব্যবহার করতেন। এ নিয়ে ওই রাতে নাসিং ইনস্টিটিউটের ভিতর শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে ঘটনাস্থলে সাংবাদিক উপস্থিত হয় এবং তাদের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চায়। এতে ছাত্রীরা সাংবাদিকদের কাছে তাদের সাথে ঘটে যাওয়া সকল অন্যায়ের কথা তুলে ধরেন। পরে গত ২৬ তারিখের কয়েকটি অন-লাইন, স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় ওই নিউজ ছাপা হয়। এতে নন্দা রাণী ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রীদের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে গালমন্দ করেন এবং তাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
এমতবস্থায় ছাত্রীরা তার আক্রশ থেকে বাচতে নিরাপত্তা চেয়ে সিভিল সার্জনের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন এবং তাদের নিরপত্তার স্বার্থে বিষয়টি দ্রুত তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জোড় দাবি জানান। এঘটনায় সিভিল সার্জন ডা. রথিন্দ্রনাথ মজুমদার বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের হরে ফিরে যেতে বলেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইনস্ট্রাক্টর নন্দা রাণী দাস বলেন, ছাত্রীদের সাথে আমাদের কিছু ভুল বুঝাবুঝি ছিলো। সেগুলো সিভিল সার্জন স্যারে সমাধান করে দিয়েছেন। এখন তাদের সাথে আমাদের আর কোনো সমস্য নেই।
এ বিষয়ে ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রথিন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, এর আগে ছাত্রীরা আমার কাছে এরকম কোনো অভিযোগ করে নাই। তবুও ইনস্টিটিউটের কিছু নিয়ম কানুন আছে ওই অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের চলতে হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যদি কোনো অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় সেটিও আমাদের দখেতে হবে। আমি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে এর সুষ্ঠ সমাধান করার চেষ্টা করবো। এতে যদি ব্যর্থ হই তাহলে উব্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তারা এর সুষ্ঠ সমাধান দিবেন।
-ইএ/এফএইচ