ভোলা খাল দখলমুক্ত করতে সবার সহযোগিতা চাইলেন জেলা প্রশাসক

বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলার প্রাণ নামে খ্যাত প্রায় দুই শত বছরের ঐতিহ্যবাহি ভোলা খাল দখল মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ উদ্যোগের কথা জানিয়ে এ ব্যাপারে দলমত নির্বিশেষে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, ভোলা খালের দুই পাড়ে বহু দখলদার বিভিন্ন স্থাপনা তৈরী করে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। ভোলা খালটি দখলমুক্ত করতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনাও রয়েছে। তাই জেলা প্রশাসন ভোলা খাল রক্ষার জন্য খালের দুই পাড় অবৈধ স্থাপনা অপসরণের মাধ্যমে দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর জন্য গত প্রায় দুই মাস ধরে প্রস্তুতি হিসেবে সার্ভে করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে খালের দুই পারে ১৫২ জন দখলদারকে চিহিৃত করে তাদেরকে ২২ মার্চের মধ্যে নিজ নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় ২৩ মার্চ থেকে প্রশাসন সব দখলদারকে উচ্ছেদ করে ভোলা খাল দখলমুক্ত করবে।

সভায় ভোলা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজু জানান, পৌরসভা থেকে ভোলা খালকে উন্নয়ন ও এর সৌন্দর্য বর্ধনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। খালের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষে ভোলা খাল খনন ছাড়াও খালপারে ৪ মিটার চওড়া সড়ক নির্মাণ, সড়ক বাতি, ২ মিটার গভীরে গাইড ওয়াল নির্মাণ, ড্রেন নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর জন্য ইতিমধ্যে জলবায়ু ট্রাস্টের আওতায় ৫ কোটি টাকা বরাদ্দও এসেছে। নির্বাহী প্রকৌশলী আরো জানান, বুধবার থেকে ভোলা পৌরসভা কর্তৃক নির্মিত বিভিন্ন স্থাপনা অপসারণের কাজও শুরু করবে।

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহমুদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুর্বত সিকদার, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ইউনুছ, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন, প্রেসক্লাব সভাপতি হাবিবুর রহমান, আবু তাহের, মোবাশ্বির উল্যাহ চৌধুরী, আলহাজ্ব মোঃ শওকাত হোসেন, শিমুল চৌধুরী, নেয়ামত উল্যাহ প্রমূখ বক্তৃতা করেন।

উল্লেখ্য, ভোলার প্রাণ নামে খ্যাত দুই শত বছরের ঐতিহ্যবাহি ভোলা খাল দখল নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় একাধিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।

-এসসি/এফএইচ