মঙ্গলবার ● ২৬ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » জেলার খবর » বিরল রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী রাবিয়ার বাচার আকুতি: আর্থিক সাহায্যের আবেদন
বিরল রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী রাবিয়ার বাচার আকুতি: আর্থিক সাহায্যের আবেদন
বিশেষ প্রতিবেদক: মেধাবী ছাত্রী রাবেয়া পিতৃহারা বিধবা মায়ের সন্তান ভোলা লালমোহন উপজেলা ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের সন্তান। কৃতিত্বের সাথে ডিগ্রী পাস করে বরিশাল এলএলবি মহাবিদ্যালয় প্রথম বর্ষের ছাত্রী ভর্তি হন তিনি। এরইমধ্যে বিরল রোগ GBS রোগে আক্রান্ত হয়ে অঙ্কুরেই ঝরে যাবার পথে এই মেধাবী ছাত্রী। সমাজের বিত্তশালীদের একটু সহানুভূতিশীল আর্থিক সহযোগিতায় জ্বলে উঠতে পারে তার জীবন জীবন প্রদীপ। রাবিয়া তার বিরল রোগের বর্ণনায় বলেন, আমি রাবেয়া বেগম পিতা মৃত জবল হক ধলীগর নগর ইউনিয়ন, থানা লালমোহন, জেলা ভোলা। গত ৩০-০৩-২০১৭ইং তারিখে আকস্মিকভাবে আমি GBS রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ি। আক্রান্ত হওয়ার পর আমার নিজ জেলা ভোলাতে হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমাকে দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল এ হস্তান্তর করেন। হাসপাতাল থেকে কর্তব্যরত ডাক্তার আমাকে ঢাকা নিউরো হাসপাতালের আইসিইউতে হস্তান্তর করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি ওই হাসপাতালে আইসিইউ খালি না পাওয়াতে তারা আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ আইসিইউ না পাওয়া ও আমার আর্থিক সংকটের কারণে মুগদা মেডিকেল কলেজে হস্তান্তর করেন। দীর্ঘ দুই মাস হাসপাতালে চিকিৎসার পর আমার অবস্থার কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার আমাকে অধ্যক্ষ ডাক্তার কাজী দীন মোহাম্মদ পরিচালক ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স এর কাছে দেখানোর পরামর্শ করেন। পরবর্তীতে ডাক্তার প্রফেসরমোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করেন। দীর্ঘ আড়াই বছর আমি ফিজিক্যাল থেরাপি দিয়ে জীবন যাপন করি। জীবন যুদ্ধের সাথে লড়াই করে আমি অনেক কষ্টে পড়াশোনা করে ডিগ্রী পাস করি। বর্তমানে আমি বরিশাল এল এল বি মহাবিদ্যালয় ১ম বর্ষের ছাত্রী আমার রুল নং ৩৩। গত ১৮ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে আমার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে অধ্যাপক ডাক্তার এম এ হান্নান মেডিসিন ও স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ নিউরোলজিস্ট চেয়ারম্যান বিভাগীয় প্রধান ইউরোলজিস্ট বিভাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আমি পরামর্শ করি উপরের উল্লেখিত স্যার আমাকে চার মাস চিকিৎসা প্রদান করেন। সর্বশেষ গত ১১ নভেম্বর তারিখে আমার শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় পুনরায় তার পরামর্শ গ্রহণ করি। তিনি আমাকে দেখার পর ব্রেন এম আর আই করার পরামর্শ প্রদান করেন। এম আর আই রিপোর্ট পাওয়ার পর অধ্যক্ষ ডাক্তার এম এ হান্নান বলেন যে GBS রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। আমার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। আমি নদী ভাঙ্গা আমার মা বিধবা একজন গৃহিণী। আমার পরিবারের পক্ষে এত ব্যয়বহুল খরচ দিয়ে আমার চিকিৎসা করানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আপনাদের সন্তান হিসেবে আমাকে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে দেয়ার জন্য আপনাদের ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় সহানুভূতি সহ অর্থিক সহযোগিতা কামনা করি। আর্থিক অনুদান পাঠানো ও যোগাযোগের ঠিকানা। রাবিয়া বেগম, পিতা-মৃত জিয়াবুল হক, এলএলবি ১ম বর্ষ, রোলা নং ৩৩, বরিশাল এলএলবি মহাবিদ্যালয়। মোবাইল নাম্বার- ০১৭২৬৫৬৮৩৯৮
-এআরটি/এফএইচ