রবিবার ● ১০ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত ওরা
নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত ওরা
স্টাফ রিপোর্টার: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নব গঠিত আহম্মদপুর ইউনিয়নের ফরিদাবাদ গ্রামের ১২ হাজার মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। নেই কোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় রাস্তাঘাট, বিশুদ্ধ পানির জন্য পর্যাপ্ত টিউবওয়েল। নদী বা পুকুরের পানি ফুটিয়ে পান করতে হয়। এমন অভিযোগ করেছেন ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা। আসন্ন এসএসসির ছাত্র মো. এরশাদ নিকটবর্তী কোন প্রকারের বিদ্যালয় না থাকায় ১০ কিলোমিটার পায়ে হেটে শিক্ষার্জনের জন্য বিশাল পথ পারি দিয়ে যেতে হয়।
একই এলাকার বাসিন্দা মো.নুরুল ইসলাম জানান, কোন সড়ক পাকা না থাকায় ছাত্র ছাত্রীরা বর্ষা মৌসুমে কোমর পরিমান পানিতে ভিজে বিদ্যালয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, বিগত ৪০ বছরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। প্রতিষ্ঠিত হয়নি কোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। হ্যারিকেন, কুপি বা সোলার দিয়ে চলে তাদের রাতের জীবন। আহম্মদপুর স্কুল ও কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী নাজমা ও রুমা জানান, এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পযর্ন্ত নেই।
শুকনাখালী বাজারের ব্যাবসায়ী আ.খালেক জানান, সড়ক না থাকায় কোন বাসিন্দা অসুস্থ্য হলে মসজিদের খাটে বহন করে চরফ্যাশন সদর হাসপাতালে আনতে হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আজ পযর্ন্ত কউিনিটি ক্লিনিক তৈরি হয়নি।
মো. আফজাল জানান, বর্ষা মৌসুমে রাতে বাড়ি না ফিরে বাজারের মসজিদে রাত যাপন করেন। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলার পর তারা দাবী করেন, আমরা মূল ভুখন্ডের বিচ্ছিন্ন প্রকৃতির মানুষ হওয়ার কারনে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ।
আহম্মদ পুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মন্নান জানান, টিআর, কাবিখা, এলজিএসপির কোন অর্থ বরাদ্দ হলে মাষ্টাররোলে আগাম স্বাক্ষর দিয়ে আসতে হয়। শুকনাখালী আনন্দ বাজার থেকে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ২৬ শত ফুট রাস্তা পাকা করনের জন্য ৩ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হলেও কোন কাজ হয়নি।
নুরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০১৪ সালে নুরাবাদ ইউনিয়নকে বিভক্ত করে আহম্মদপুর ইউনিয়ন করার পর কোন নির্বাচন না হওয়ায় আমি দেখভাল করছি। আলাদা কোন বরাদ্দ না হওয়ার কারনে দুই ইউনিয়নে একই বরাদ্দ দিয়ে কাজ চালিয়েছি। আগামী শুকনো মৌসুমে রাস্তাঘাট, কমিউনিটি ক্লিনিক, টিউবওয়েল, ও বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এলাকায় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তাবনা আছে বলে তিনি জানান।
এলাকার লোকজনের দাবি যেন অতি দ্রুত একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়।
-এএমটি/এফএইচ